গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর শরীরের বেশ কিছু জায়গায় ক্ষত রয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক হিংসার অনুমান করছেন স্থানীয় বাম নেতৃত্ব। তাঁদের অনুমান শাসক দল তৃণমূলের মদতেই ঘটনাটি ঘটেছে।
পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আহত রবিউলের পিতা মোকলেসশ্বর রহমান বলেন, ‘আমি বাড়িতেই ছিলাম, হঠাৎ দেখি ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে আসে। আমি কোনওদিকে না দেখে গাড়ি করে ছেলেকে নিয়ে সোজা ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে আসি।
ওর শরীরের বেশ কিছু জায়গায় ক্ষত রয়েছে। কী কারণে হামলা হল তা এখনও বুঝতে পারছি না’। অপরদিকে, CPIM-এর জেলা কমিটির সদস্য বিকাশ দাস বলেন, ‘আমরা খবর পাই, যে আমাদেরই সদস্য মোকলেশ্বর রহমানের ছেলেকে কেউ বা কারা রাতের অন্ধকারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছে।
আমরা তড়িঘড়ি ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ছুটে আসি। ওর অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। চা গাছ কাটার যে হাঁসুয়া রয়েছে সেই অস্ত্র দিয়েই তাঁর উপরে আক্রমণ করা হয়েছে। এর পিছনে রাজনৈতিক কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই আমাদের অনুমান।
এই বিষয়ে আমরা পুলিশের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছি’। অপরদিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয়। অভিযুক্ত যাতে দ্রুত গ্রেফতার হয় এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয় তা পুলিশকে জানিয়েছি। হতে পারে ব্যক্তিগত কোনও আক্রোশের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। এখানে রাজনৈতিক কোনও ব্যাপার নেই’।