সেই সমস্যার কিছুটা সুরাহা হতে চলেছে কালনা মহকুমা হাসপাতালে। অস্থায়ী ভাবে হলেও শিগগির এই হাসপাতালে এক জন বিশেষজ্ঞ ক্যানসারর চিকিৎসক যোগ দিতে চলেছেন। তাতে ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি পরামর্শের সুযোগও পাবেন রোগীরা।
কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার চন্দ্রশেখর মাইতি বলেন, ‘স্বাস্থ্য ভবন রেডিয়োথেরাপিস্ট, অস্থি, বক্ষ, বায়োকেমিস্ট্রি সমেত ১২ জন বিশেষজ্ঞের পোস্টিং দিয়েছে। তাঁরা হাসপাতালে যোগ দেবেন। তাঁদের মধ্যে এক জন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞও রয়েছেন। এঁরা প্রত্যেকে দু’বছর থাকবেন। তার পরেও কেউ মেয়াদ বাড়াতে চাইলে সরকার বিবেচনা করে দেখবে।’
মহকুমা হাসপাতালের উপর কালনা ছাড়াও লাগোয়া হুগলি ও নদিয়ার বেশ কিছু এলাকার মানুষ নির্ভরশীল। হাসপাতালে গড়ে উঠেছে সুপার স্পেশালিটি ইউনিটও। কিন্তু কার্ডিয়োলজি, ইউরোলজি বা অঙ্কোলজির মতো বিভাগগুলিতে বিশেষজ্ঞ না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় রোগীদের।
জানা গিয়েছে, হাসপাতালে এই মুহূর্তে রয়েছেন ৫৩ জন চিকিৎসক। এই ১২ জন যোগ দিলে মোট চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬৫। ক্যানসারর বিশেষজ্ঞ যোগ দিলে রোগীরা স্ক্রিনিংয়ের সুবিধা পাবেন। রোগীর শরীরে ক্যানসারের লক্ষণ থাকলে তা চিহ্নিত হবে। মিলবে প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ জন বিশেষজ্ঞ আপাতত দু’বছর হাসপাতালে থাকবেন। এর পিছনে রয়েছে সরকারি নিয়ম। কোনও চিকিৎসক এমডি বা এমএস পর্যায়ে পড়াশোনা করলে তাঁকে ৩ বছর সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা দিতে হয়। ৩ বছরের মধ্যে এক বছর মেডিক্যাল কলেজ ও দু’বছর মহকুমা স্তরের হাসপাতালের জন্য নির্দিষ্ট করা থাকে।
এই সময়কালে পরিষেবা দেওয়ার বদলে ফিক্সড স্টাইপেন্ড পান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তবে কেউ চাইলে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনও করতে পারেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ১২ জন বিশেষজ্ঞ কালনা মহকুমা হাসপাতালে যোগ দিলে চিকিৎসকের অভাব অনেকটাই মিটবে।