এই সময়: ট্রাম লাইনের ভার আর বইতে পারছে না শিয়ালদহ উড়ালপুল। অবিলম্বে ওই উড়ালপুল থেকে ট্রাম লাইন না সরালে সেতুর স্বাস্থ্য আরও দ্রুত খারাপ হবে বলে রিপোর্ট দিলেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, উড়ালপুলের উপরের অংশ খারাপ হলে পিচের উপর পিচের প্রলেপের যে রীতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তা-ও বন্ধ করতে বলা হয়েছে। বরং আগের আস্তরণ তুলে নতুন করে পিচ দেওয়ার জন্যে উড়ালপুল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কেএমডিএ’র কাছে সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ সংস্থা।

পোস্তার নির্মীয়মাণ উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পরেই তাদের আওতাধীন সব সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেএমডিএ। প্রথমে দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়েই স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়। তাঁরা অবশ্য শিয়ালদহ উড়ালপুলের স্বাস্থ্য ঠিক আছে বলেই রিপোর্ট দিয়েছিলেন। সরকারি সূত্রে খবর, তার পরেও উড়ালপুলের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

Chingrighata Flyover News: তৃতীয় পক্ষের সম্মতি মিললেই বন্ধ হবে চিংড়িহাটা উড়ালপুল, বিকল্প কোন পথে যানচলাচল?
সম্প্রতি তারা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিয়েছে। উড়ালপুলের হ্যামারিং টেস্ট, ইউপিডি, কোর কাটিং, করোশন টেস্ট, টোপোগ্রাফি টেস্ট, স্ক্যানিং এবং লোড ক্যাপাসিটি বা ভারবহন ক্ষমতা খতিয়ে দেখার পর ওই সংস্থা জানিয়েছে, বয়সের ভারে এমনিতেই কমজোর হয়েছে শিয়ালদহ উড়ালপুল৷ ভারী যান চলাচলেরও বিরাম নেই।

তার উপরে রয়েছে ট্রাম লাইন৷ উড়ালপুল রক্ষায় ট্রাম লাইন তুলে ফেলা জরুরি৷ উড়ালপুলের উপরে পিচের পরের পর আস্তরণও তুলে ফেলতে হবে৷ কারণ, তার জন্যেও ভার বাড়ছে উড়ালপুলের৷ এর বদলে দিতে হবে পিচের নতুন আস্তরণ৷ বর্তমান যা অবস্থা তাতে ৭১ টনের বেশি মাল বহনের ক্ষমতা রয়েছে শিয়ালদহ উড়ালপুলের।

Sealdah Bongaon Local: নিত্য বহু মানুষের যাতায়াত, বারাসত জংশনের আধুনিকীকরণের সঙ্গে শুরু এবার চলমান সিঁড়ি
তবে ওই উড়ালপুলের জয়েন্ট পয়েন্টে যে গার্ডার রয়েছে, সেগুলি পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মাঝেরহাট উড়ালপুল ভেঙে পড়ার জন্যে যে কয়েকটি বিষয়কে দায়ী করা হয়েছিল, তার মধ্যে ট্রাম লাইনের অতিরিক্ত ভারকেও চিহ্নিত করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। শিয়ালদহ উড়ালপুল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিলেন কেএমডিএ’র আধিকারিকরা।

Chingrighata Flyover : অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে যানচলাচল, প্রয়োজনে চিংড়িহাটা উড়ালপুল ভাঙার পরামর্শ
সেখানে ঠিক হয়েছে, বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টের কথা জানিয়ে পরিবহণ দফতরের কাছে আর্জি জানানো হবে ট্রাম লাইন তুলে ফেলার জন্যে। পাশাপাশি, যে সুপারিশ বিশেষজ্ঞ সংস্থা করেছে, তা খুব শীঘ্রই বাস্তবায়িত করা হবে। ট্রাম যখন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ, তখন লাইন রাখারও মানে হয় না। এতে সেতুর ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version