খরচ মাত্র ১০ টাকা
স্থানীয়রা বলছেন, সাম্প্রতিককালে তাজপুর সমুদ্র সৈকতে যাঁরা বেড়াতে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ঢুঁ মারছেন ওই লাইট হাউজে। লাইট হাউজের চূড়ায় উঠে উপর থেকে গোটা তাজপুর বিচ ও আশেপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মন ভরাচ্ছেন পর্যটকরা। আর এর জন্য খরচও খবু বেশি না। মাত্র দশ টাকা খরত করলেই আপনি সাক্ষী হতে পারবেন এই অপরূপ দৃশ্যের। আবার রাত হলে জ্বলে ওঠে লাইট হাউজের আলো, তাতে গোটা চিত্রটা যেন আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। লাইট হাউজটিকে আরও সুন্দর করে তোলার জন্য, বর্তমানে এটর প্রাঙ্গণে পার্ক ও অন্যান্য আরও বেশকিছু ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কলকাতার একটি ঠিকাদার সংস্থা এই গোটা কাজটি সম্পন্ন করছে। আর তার জন্য খরচও হচ্ছে প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি।
স্থানীয়রাও যাচ্ছেন লাইট হাউজে
তাজপুরে মূলত মানুষ ২-৩ দিনের জন্য হাওয়া বদল করতে যান। বিচে বসে সমুদ্র দেখা বা বিশ্ববাংলা পার্ক ছাড়া আর তেমন কোনও দ্রষ্টব্য স্থান সেভাবে তাজপুরে নেই। সেক্ষেত্রে এই লাইট হাউজই এখন পর্যটকদের কাছে নতুন গন্তব্য হয়ে উঠেছে। সেক্ষেত্রে শুধু লাইট হাউজের চূড়ায় উঠে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখাই নয়, যে সমস্ত পর্যটকরা এটি দেখতে যাবেন, তাঁরা যাতে সেখানে কিছুটা সময় বসে গল্প আড্ডা দিতে পারেন, তার জন্যই মূলত এটির সৌন্দর্যায়নের ওপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর সেই কারণে তৈরি হচ্ছে পার্ক-সহ অন্যান্য সমস্ত পরিকাঠামো। এক্ষেত্রে শুধু দূরের পর্যটকরাই নয়, স্থানীয়দের কাছেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই লাইট হাউজ। বিকেলের দিকে স্থানীয় মানুষজনই মাঝে মধ্যেই চলে যাচ্ছেন লাইট হাউজে। এককথায় বলতে গেলে এই লাইট হাউজ তাজপুরের পর্যটনে আরও গতি দেবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।