রাজ্যে ক্রমশই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। এরই মাঝে বিধাননগরে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের কারণ হিসেবে পরোক্ষে মেট্রোর কাজকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় ডেঙ্গি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন না হওয়ার কারণেই সমস্যা হচ্ছে, পঞ্চায়েত কাজ করতে পারছে না।’ পাশাপাশি বিধাননগরে ডেঙ্গির প্রকোপ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বিধাননগরের মেট্রোর কাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি চলছে, তাই সেখানে জল জমে ডেঙ্গি বেশি হচ্ছে।’

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য খারিজ মেট্রো কর্তৃপক্ষর
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য মানতে নারাজ মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এই প্রসঙ্গে মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছেন, তার প্রেক্ষিতে আমায় কিছু বলতে হবে, এমন কোনও মানে নেই। আমরা কোথাও এমন পরিস্থিতি রাখি না যে জল জমে। আমাদের কাট অ্যান্ড কভার পদ্ধতিতে কাজ হয়। কাট অ্যান্ড কভার বলতে মাটি কেটে সেখানে আবার ভরাট করে দেওয়া হয়। সেখানে তো জল জমার কোনও সুযোগ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমাদের কোনও বক্তব্য থাকে না, কিন্তু আমাদের জন্য যে ডেঙ্গি হচ্ছে সেটাও আমরা মানতে পারছি না।’

Mamata Banerjee : ‘টাকার কথা না ভেবে রোগীদের ভর্তি নিন’, ডেঙ্গি নিয়ে হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যু হয়ে বেশকয়েকজনের। যদিও গতকাল মুখ্যমন্ত্রী জানান, ডেঙ্গিতে এখনও পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৯৭ জন। ডেঙ্গি মোকাবিলায় দফায় দফায় প্রশাসনিক পর্যালোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।

Dengue Prevention : জল জমিয়ে রেখে মশার ‘লার্ভা চাষ’! ১৫০০ বাড়িতে নোটিশ হাওড়া পুরসভার

এদিকে মঙ্গলবার ডেঙ্গি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিরোধীরা। সেই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদ বলেন, ‘মানুষের ভাল কেউ চায় না। মানুষের ভাল চাইলে নিজের পাড়ায় ছাদে, কোথায় ভাঁড় পড়ে আছে, কার বাড়ির পেছনে ভাঙ্গা বালতি পড়ে আছে, নিজের পাড়াটা পরিষ্কার আছে কি না সেটা আরও বেশি দেখার প্রয়োজন। বিক্ষোভ করলাম, একদিন ছবি উঠল, তারপর ছবিতেই থেকে গেলাম, তাতে ডেঙ্গি পরিস্থিতি সামলাবে না। রাস্তায় নামলাম, প্রচার করলাম, দশটা মানুষকে সচেতন করলাম, তারাও দেখলো, এইভাবে যখন সারা বাংলার মানুষ সচেতন হবেন, তখন অটোমেটিক ডেঙ্গি চলে যাবে। এটা সরকারের একাj পক্ষে বা একা কারও পক্ষে করা সম্ভব না। মানুষ অনেকটাই সচেতন হয়েছেন, আরও সচেতন হলে ডেঙ্গি পুরোটাই চলে যাবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version