তৃণমূলের এই প্রবীণ সাংসদ আরও বলেন, ‘রক্ষী বাহিনী অনেক মহিলা সদস্য রয়েছেন। তাঁরা রাতে পাহারা দেওয়ার কাজ করবেন না। রক্ষী বাহিনীকে শুধু সমর্থন করলেই হবে। এখন সব জায়গায় এই রক্ষী বাহিনী উঠে যাচ্ছে। কেউ আর সময় দিয়ে এসব করতে চায় না। এটা না করলেও আবার উপায় নেই। শুধু পুলিশের উপর নির্ভর করে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। আমি আপনাদের শুভেচ্ছা জানাই। যখনই আমাকে ডাকবেন, আমি আপনাদের এখানে আসব।’
রক্ষী বাহিনীর তরফে বরানগরের রায়মোহন ব্যানার্জি লেনে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ। সেই রক্তদান শিবিরে অনেকেই রক্ত দিয়েছেন। তাঁদের হাতে সম্বর্ধনা তুলে দেন প্রবীণ সাংসদ। তবে সৌগত রায়ের এই মন্তব্য পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেলাগাম সন্ত্রাস দেখে বঙ্গবাসী। রক্ত ভিজেছে গ্রাম বাংলার রাজপথ। ঝরে গিয়েছে অনেকগুলি প্রাণ। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এমনকী পুলিশ নিরপেক্ষ নয় বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। এমনকী পুলিশ ও প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দেদার ছাপ্পা ও কারচুপির অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে সম্প্রতি এক সভা থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের ফল অনেটাই ভালো হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগও কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। অভিষেকে নবজোয়ার যাত্রা সব মুছে ফেলেছে। তবে অভিষেক বলেছিলেন সন্ত্রাস ও রক্তপাতহীন নির্বাচন হবে। এবারের ভোটে সেটা হয়নি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয়। তবে দলের এই ভালো ফলের একমাত্র কৃতিত্ব তৃণমূলের নীচুতলার কর্মীদের।’