দুপুরেই আঁধার নামল শহরে। ঝেঁপে বৃষ্টি নামল শহর জুড়ে। প্রবল বৃষ্টিতে ভিজল দফায় দফায় শহর থেকে জেলা। উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ এদিন সন্ধেতেই প্রবেশ করছে রাজ্যে। অতিক্রম করছে বাংলাদেশ উপকূল। এর জেরে ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা বঙ্গে। গভীর এই নিম্নচাপ বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ২০০ কিমি দক্ষিণপূর্বে পশ্চিমবঙ্গের দিঘার ৪৩০ কিমি পূর্ব-দক্ষিণপূর্ব পর্যন্ত বিস্তৃত।
বৃষ্টিতে ভাসবে
আবহাওয়া দফতর জানা গিয়েছে, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ১৪ জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আজ ও আগামীকাল ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ওই চার জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এছাড়া কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি ও পুরুলিয়াতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এছাড়া মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও নদিয়াতেও হবে ঝেঁপে বৃ্ষ্টি।
ঝোড়ো হাওয়ায় সতর্কতা
উপকূলবর্তী এলাকা ও দুই ২৪ পরগনা, নদিয়ায় ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা। ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেয়ে বইবে ঝড়। এর জন্য মৎস্যজীবীদের নৌকা নিয়ে সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ায় উত্তাল সমুদ্রে নৌকা বা ট্রলার ডুবির আশঙ্কা রয়েছে। এর সঙ্গেই রয়েছে ভরা কোটালের যোগ। এর জেরে বাড়বে সমুদ্র ও নদীর জলস্তর। ভরা কোটালের জোড়া ফলায় উপকূলবর্তী অঞ্চলে সতর্কতা। এর জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নদী বাঁধ উপছে পড়ার আশঙ্কা। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। এই আশঙ্কায় দিঘা ও মন্দারবনি বিচেও জারি হয়েছে সতর্কতা। গত দুদিনে সাগরে মৎস্যজীবীদের ট্রলার দুর্ঘটনায় পড়ার একাধিক ঘটনা নজরে এসেছে।
চলতি বছর জুন ও জুলাইয়ে সেরকমভাবে কোনও বৃষ্টিপাত পায়নি দক্ষিণবঙ্গ। উত্তরবঙ্গ জুলাইয়ের মাঝামাঝি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল উত্তরের একাধিক জেলার। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে। এবছর দক্ষিণে তেমন বৃষ্টি না হলেও বজ্রপাতে একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিনও হলদিয়ায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ২ জনের। মঙ্গলবার বিকেলে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রাঘাতে জমিতে চাষের কাজ করতে করতে মৃত্যু হয়েছে হলদিয়া ব্লকের বড়বাড়ি গ্ৰামের দুই চাষির।মৃত দুই চাষির নাম পিন্টু বেরা ও সমরেশ বেরা।