আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করতে ইন্ডিয়া জোট গড়েছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই বৈঠকও হয়েছে এই জোটের। আগামীদিনে হতে চলেছে আরও বৈঠক। এরই মাঝে এবার বিরোদধীদের জোটি নিয়ে করা অমিত শাহের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পালটা মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘বিরোধী সদস্যদের কাছে আবেদন, আপনারা দিল্লির কথা ভাবুন, জোট নিয়ে ভাববেন না, কারণ জোটে কোনও লাভ হবে না।’ অমিত শাহের দাবি, জোট হওয়া সত্ত্বেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদীই।

অমিত শাহের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘দিল্লি হল ভারতের রাজধানী, এটা ভাল যে তারা (বিজেপি) সঠিক কথা বলেছে। হ্যাঁ, আমার দিল্লি জয় করতে যাচ্ছি, অর্থাৎ ইন্ডিয়া জিততে চলেছে।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশকে বাঁচানোর জন্য এই ইন্ডিয়া জোট। দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে, সাম্প্রদায়িকতার হাত থেকে রক্ষা করতে ও বেকারত্বের হাত থেকে রক্ষা করতে ইন্ডিয়া জোট। ভারত আমাদের মাতৃভূমি, আর এটা মাতৃভূমির জন্য। বাস্তবেই ইন্ডিয়া জোট সরকার গড়বে, কারণ দিল্লি হল দেশের রাজধানী, সেখানেই রয়েছে পার্লামেন্ট। মমতা আরও বলেন, ‘আমি জানি না তারা ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত বলেছে, তবে ঠিক বলেছে।’

অন্যদিকে আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপি (নাম না করে) কারচুপি করতে পারে বলেও এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এক প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওদের (বিজেপির) প্ল্যানিং ওরা এখন থেকেই করছে, ওরা ইলেক্ট্রনিক মেশিন হ্যাক করার নানারকম ব্যবস্থা করছে, আমাদের কাছেও কথাবার্তা এসেছে। আমারও প্রমাণ কিছু পেয়েছি, কিছু খুঁজছি।’ এই নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে আলোচনা হবে বলেও জানান মমতা।

Mamata Banerjee : বাইপাসে মেট্রোর রং গেরুয়া? মমতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অবস্থান স্পষ্ট করল কর্তৃপক্ষ
অন্যদিকে এদিন রাজ্যে একাধিক স্বাস্থ্য প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এদিন বাংলার বিভিন্ন জেলার ৫৬ হাসপাতালে ২০ শয্যা বিশিষ্ট বাড়তি ওয়ার্ডের উদ্বোধন করেন তিনি। বাড়তি ওই ওয়ার্ডগুলি তৈরি করা হয়েছে অতিমারীর মতো আপৎকালীন পরিস্থিতিতে রোগীকে আইসোলেশানে রাখার জন্য ও স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে রোগীদর চিকিৎসার জন্য। বাঁকুড়া, বসিরহাট, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, হুগলি, হাওড়া, মালদা, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও পরুলিয়ায় তৈরি হয়েছে ওই ওয়ার্ডগুলি। প্রকল্পের মোট খরচ ৫০ কোটি টাকা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version