সমস্যার মুখে পড়েছিল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের বিভিন্ন থানার মালখানাগুলিতে জমেছে টাকার পাহাড়। সেই টাকা আদালতের নির্দেশে ট্রেজারিতে জমা শুরু করতেই কার্যত হাফ ছেড়ে বাঁচছেন পুলিশ কর্মীরা। বিভিন্ন অপরাধ, মাদক মামলার তদন্তে কম বেশি প্রতিটি থানাই বাজেয়াপ্ত করে প্রচুর পরিমাণ টাকা।

অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা টাকা সংশ্লিষ্ট থানার মালখানায় রাখা হয়। সেই টাকা জমতে জমতে বলা যায় টাকার পাহাড় হয়ে গিয়েছে থানাগুলির মালখানাগুলিতে। অবশেষে আদালতের নির্দেশে সেই টাকা ট্রেজারিতে জমা করা শুরু হয়েছে। সেই টাকা জমা করতে গিয়েছে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে পুলিশকর্মীদের মধ্যে। টাকা জমা করতে গিয়ে দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না শিলিগুড়ির বিভিন্ন থানার পুলিশ কর্মীরা।

Kolkata Police cyber crime : ‘তুমি ভালো ছেলে…’, গড়িয়াহাটের যুবককে ফোন ‘CBI’ অফিসারের! তারপর যা হল…
মাটিগাড়া থানায় প্রায় ৭৭ লাখ টাকা মালখানায় ছিল। সেই বিপুল পরিমাণ টাকা ইতিমধ্যেই ট্রেজারিতে জমা করা হয়েছে। মাটিগাড়া থানার মালখানার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্মী বলেন, ‘মাদক সহ বিভিন্ন মামলায় টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। এরমধ্যে প্রচুর ২ হাজার টাকার নোটও ছিল। যেকারণে চিন্তায় পড়েছিলাম। শেষে আদালতে দৌড়াঝাপ করে টাকা ট্রেজারিতে জমার নির্দেশ পাওয়া গিয়েছে। এই নির্দেশ পাওয়ার পরই টাকা জমা করে দেওয়া হয়েছে। এতোগুলো টাকা মালখানায় থাকায় চিন্তাও বাড়ছিল।’

Siliguri News : আরও জোরদার শিলিগুড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বিশেষ পদক্ষেপ পুলিশের
একই অবস্থা শিলিগুড়ি পুলিশের আওতাধীন অন্যান্য থানাগুলিতেও। নিউ জলপাইগুড়ি থানা প্রায় ছয় লাখ টাকা, শিলিগুড়ি থানা প্রায় ৩৭ লাখ টাকা ট্রেজারিতে জমা করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অনেক সময় দেখা যায় থানার মালখানায় টাকা পড়ে থেকে পোকা, ইদুরের জন্য সেই টাকা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যেকারণে চিন্তায় থাকতেন থানার পুলিশ কর্মীরা। বিষয়টি কমিশনারেটকেও জানানো হয়। এরপরই থানাগুলিকে সেই টাকা গুনে আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী ট্রেজারিতে জমা করার কথা বলা হয়। সেই নির্দেশ মিলতেই এখন এক এক করে থানাগুলি ট্রেজারি টাকা জমা দিতেই ব্যস্ত।

Justice Abhijit Ganguly : ‘আদানিকে স্কুল বেচে দিন…’, শিক্ষকদের ‘দুর্দশা’ দেখে মন্তব্য ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
অন্যদিকে শুধু টাকা নয়। মালখানায় জমে থাকা মাদক, নেশার সিরাপগুলি নষ্ট করতে শুরু করেছে পুলিশ। বিভিন্ন থানার মালখানায় প্রচুর ব্রাউন সুগার, গাঁজা জমে থাকছে। আদালতের নির্দেশ মিলতেই সেই মাদকগুলি আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও সেণ্ট্রাল মালখানা থেকে প্রচুর মাদক নির্দেশ মেনে ও আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version