গুণ্ডা দমনে ব্যর্থ হলে ব্যারাকপুর কমিশনারের অফিসে ধরনায় বসার হুমকি দিলেন শাসক দলের বিধায়ক মদন মিত্র। এবার কামারহাটি এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।

এদিন বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, ‘কামারহাটি এলাকায় কোনও গুণ্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের অফিসে গুণ্ডাদের নামের তালিকা দিয়ে দেব। তারপরেও যদি কমিশনার ব্যবস্থা না নেন, তাহলে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে ধরনা অবস্থানে বসব আমি।’ এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শাসকদলের বিধায়ক মদন মিত্র।

Madan Mitra : ‘কচি কচি বান্ধবীদের নিয়ে…’, মদনকে একহাত বিজেপির স্বপনের
সেই সঙ্গে মদন মিত্র আরও বলেন, ‘কামারহাটি এলাকায় CPIM-এর বিকল্প গুণ্ডা আমরা তৈরি করেছি। গুণ্ডা আমরা তৈরি করি। আমরা যদি মনে করি গুণ্ডা তৈরি করব তাহলে সে গুণ্ডা থাকবে। আর যদি মনে করি ঘরে ঢুকিয়ে দেব। তাহলে এনডিপিএস কেস খেয়ে গুণ্ডা ঘরে ঢুকে যাবে। গুণ্ডাদের ভয়ে কামারহাটি এলাকার ভালো ভালো সক্রিয় তৃণমূল কর্মী দল করতে ভয় পাচ্ছেন। যে সমস্ত গুণ্ডারা তৃণমূলের জামা পরে গুণ্ডামি করছেন, তৃণমূলের জামা শরীর থেকে খুলে ফেলুন। তারপরে সেই গুণ্ডাদের গঙ্গার জলে যদি চুবিয়ে আনতে না পারি তাহলে আমার নাম মদন মিত্র নয়।’

এখানেই না থেমে মদন বলেন, ‘অনেক মস্তান দেখে আমি বড় হয়েছি। গোটা কামারহাটি বিধানসভা এলাকা জুয়ায় ভরে গিয়েছে।’ মদন মিত্রের এই হুঙ্কারে এখন তটস্থ কামারহাটি, এমনটাই জানা যাচ্ছে। এদিকে, দলের গাইডলাইনের বাইরে গিয়ে বারবার মন্তব্য করছেন তিনি।

Madan Mitra Facebook Live : ‘আমার আর ক’দিন…’, নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বলে দিলেন মদন মিত্র
পুলিশের ভূমিকা নিয়েও একাধিকবার প্রশ্ন তুলছেন মদন মিত্র। এবার তাঁর মুখে এমন ডাক বেশ ভাবিয়ে তুলেছে দলীয় নেতৃত্বকে। যা নিয়ে মন্তব্য পর্যন্ত করা হয়েছে। আরও তুঙ্গে উঠেছে চর্চা। তাতেই সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি।

গতকালই ফেসবুক লাইভে এসে মদন বলেন, ‘দলটাকে বাঁচান। পার্টি বাঁচলে আমরা বাঁচব। দলকে ভাল না লাগলে দল করবেন না। কিন্তু BJP-CPIM কে তেল দিয়ে আমাদের দলের একাংশ রাতের অন্ধকারে তৃণমূলকে চোর বানাচ্ছে।’

Madan Mitra : আটজনের মধ্যে রাজ্যের কোন কোন মুখ্যমন্ত্রী সৎ? কী বললেন মদন মিত্র
এদিকে, মদন মিত্রের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে সরব হয়েছে BJP নেতৃত্ব। BJP নেতা কিশোর কর বলেন, ‘মদন মিত্র নিজেই বলছেন গুণ্ডা তৈরি করেন। তাহলে এর থেকেই প্রমাণিত মদন মিত্রর আশ্রয়েই গুণ্ডারা থাকে ও গুণ্ডামি করে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারকে বলব মদন মিত্রর বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। মদনের জন্যই কামারহাটিতে এত দুষ্কৃতীদের বাড়াবাড়ি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version