পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে এখানে বসবাস। গত কয়েক মাসে সামনে এসেছে একাধিক এমন ঘটনা। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার নাম করে পাক নাগরিক সীমা হায়দারের এদেশে প্রবেশের ঘটনা নিয়ে উত্তাল দেশ। একদিকে সীমা অন্যদিকে অঞ্জু। এদেশে স্বামী সন্তান ছেড়ে পাকিস্তানে গিয়ে নতুন সংসার পেতেছেন ওই ভারতীয় তরুণী। সীমা ও অঞ্জুর ঘটনার মধ্যেই সামনে এল এরাজ্যে বসবাসকারী এক তরুণীর পাকিস্তান যোগ। পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট শহরের এক তরুণী এবার গোয়েন্দাদের নজরে।

বর্তমান দৈনিকে প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট শহরের সাধারণ ঘরের এক ডাকসাইটে সুন্দরী তরুণী আচমকাই পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য অধীর। পাকিস্তানি এক যুবকের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সম্পর্ক রয়েছে সেই সূত্রেই তিনি পাকিস্তান যেতে চান বলে জানিয়েছেন। যদিও তাঁর সন্দেহজনক গতিবিধির জন্য গোয়েন্দাদের নজর পড়েছে তাঁর উপর বলে খবর।
Anju In Pakistan : স্বামী সন্তানকে ফেলে পাকিস্তানি প্রেমিককে বিয়ে করেও হননি খান্ত, ফের প্রেমে পড়েছেন সেই অঞ্জু?

জানা গিয়েছে, তরুণীর দাবির সঙ্গে তাঁর কাজকর্মের ব্যাপক ফারাক রয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমানের দাঁইঘাটের বাসিন্দা ওই তরুণীর বাড়ির আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। অথচ তরুণীর জীবনযাত্রা মান অতি উত্তম। বর্ধমান থেকে কলকাতা এসে রয়েছেন বহুদিন ধরেই। বয়স ২৯। যেমন স্মার্ট, রূপে তেমনই মোহময়ী। বাংলা ছাড়াও মার্কিনি টানে ইংরেজি বলায় তুখোড়, হিন্দিতে সাবলীল। প্রায়শই যাতায়াত রয়েছে দিল্লিতেও। কী তাঁর পেশা, তা কিন্তু স্পষ্ট নয়।
Seema Haider News : রাজনীতির ময়দানে সীমা হায়দর! কোন দলের টিকিট পাচ্ছেন পাক পাবজি প্রেমিকা?

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তরুণীর সন্দেহজনক কিছু গতিবিধির কারণে দেশের দুই বড় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে পড়েন তিনি। সম্প্রতি পাকিস্তানে যাওয়ার ভিসার জন্য আবেদন করেন তিনি। ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে যেতে চান তিনি। তাঁর রেকর্ড খতিয়ে দেখতেই সামনে আসে পাকিস্তানের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। আদনান খান নামে রেজিস্ট্রার ওই যুবকের নম্বর। হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে তাদের নিত্য যোগাযোগ। এমনকী পাকিস্তান থেকে তাঁর কাছে একাধিক নম্বরের ফোন এসেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে ফোন নম্বরগুলি পরে বদলে ফেলা হয়েছে।
World News Latest : কালো মেয়ে আপনারই? পাচারকারী সন্দেহে বিদ্ধ শ্বেতাঙ্গ মা

জানা গিয়েছে, গোয়েন্দাদের তরফে তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি তাঁর পাকিস্তান যোগ ও ভিসার আবেদনের কথা সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান। পরে ভিসার আবেদনপত্র দেখিয়ে চাপ দেওয়া হলে তিনি বলেন প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতেই সে দেশে যেতে চান। যদিও তাঁর দেওয়া তথ্যে সম্পূর্ণ ভরসা করতে পারছেন না গোয়েন্দারা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। নিজেকে ছাত্রী হিসেবে দাবি করলেও তরুণী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন। কিন্তু সেই আয়ের সঙ্গেও তাঁর ব্যয় সঙ্গতিপূর্ণ নয়। উপরন্তু, তাঁর পরিবারের কেউই তাঁর আয় বা পাকিস্তানের প্রেমিক নিয়ে কিছু জানেন না। সব মিলিয়ে ওই তরুণীর ফোন কল থেকে সোশ্যাল মিডিয়া সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version