কাতারে কাতারে লোক! যে দিকে চোখ যায়, কালো মাথা। সম্প্রতি কলকাতার উইপ্রো অফিসের বাইরে দেখা গিয়েছে এই দৃশ্য। চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে এসেছে বহু চাকরিপ্রার্থী। নিমেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো।

আর এরপর থেকেই একদিকে যেমন তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া, তেমনই সুর চড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলও। রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে সম্প্রতি অতীতে একাধিকবার রাজ্য শাসক দলকে বিঁধতে দেখা গিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে। উইপ্রোর এই ভাইরাল ভিডিয়োর ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হল না।

West Bengal Debt : বাম আমলে ছিল ২ লাখ কোটি, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের ঋণের পরিমাণ কত? তথ্য দিলেন মমতা
অন্যদিকে, বিরোধীদের আক্রমণ ফিরিয়ে দিয়ে পালটা বামেদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলল তৃণমূল। বঙ্গ BJP-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য উইপ্রোর এই দৃশ্য নিয়ে সরাসরি অভিযোগ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূলের দিকে। তিনি বলেন, “মাস্টার ডিগ্রি করা ছেলেমেয়েরা ডোমের চাকরির জন্য আবেদন করেছেন এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। বেঙ্গালুরু শহরের দ্বিতীয় কথ্য ভাষা আজ বাংলা। ১৪ লাখ ৬০ হাজার ছেলেমেয়ে সেখানে কাজ করছে। ৬৫ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক। বাংলা কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তা এটা থেকেই বোঝা যায়।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলায় কোনও বিনিয়োগ নেই। শিল্পের সুস্থ প্রতিযোগিতা করে দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। জমি নিয়ে শিল্পপতিরা তা ফেরত দিচ্ছেন। দিশাহীন সরকার।”

Kolkata Wipro Interview Viral: কলকাতায় Wipro অফিসে চাকরিপ্রার্থীদের ভিড়! ‘বেকারত্বের বাস্তব ছবি’, মত নেটপাড়ার
গেরুয়া শিবিরের পালটা সরব হয়েছে তৃণমূল। TMC-র মুখপাত্র কুণাল ঘোষ নিশানা করেছেন বামফ্রন্ট সরকারকে। তিনি বলেন, “আটের দশকে বাংলায় কম্পিউটার ঢুকতে দেব না বলে আন্দোলন করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। আইটি যখন ঢুকেছিল সেই সময় নয়ডা, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই তারা এগিয়ে গিয়েছিল। সবথেকে দেরিতে হয় সেক্টর ফাইভ। এর জন্য দায়ী বামেদের কম্পিউটার নীতি। পরবর্তীকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পর বহু সংস্থা সম্প্রসারণ করেছে। নতুন সংস্থা এসেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এখন বাংলার নতুন প্রজন্ম এখানেই থাকছে। শুধু তাই নয়, অন্য রাজ্য থেকে অনেকে ফেরত আসছেন। বাম জামানায় চলে যাওয়ারাও রাজ্যে ফিরছেন। ফলে ভিড় দেখতে বড় হচ্ছে।”

Suvendu Adhikari : ‘ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট লাগিয়ে সততা প্রমাণ করুন’, মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
এদিকে তৃণমূলের এই যাবতীয় অভিযোগ পালটা উড়িয়ে দিয়েছেন বামেরা। সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স বামফ্রন্টের আমলে, আইটি হাব বামফ্রন্টের আমলে, রাজারহাট টাউনশিপ বামফ্রন্টের আমলে, হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল বামফ্রন্টের আমলে। তৃণমূল আমলে এগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাই কাজের জন্য রাজ্যের ছেলেমেয়েদের বাইরে যেতে হচ্ছে। এই দায় স্বীকার করতে হবে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version