যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। তৃণমূল সদস্যদের একটি বড় অংশের অভিযোগ, ISF-এর সঙ্গে জোট করে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠী বোর্ড গঠন করেছে। এই কথাকে সমর্থন করে ISF নেতা হাবিব আলি বলেন, ‘তৃণমূলের সঙ্গে আমরা জোট করে বোর্ড গঠন করেছি। যাদের সঙ্গে আমরা জোট করেছি তাঁরা তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী। তৃণমূলের অপর এক গোষ্ঠী তাঁদের সমর্থন করছিল না। সেই সময়ে ওই গোষ্ঠীর লোকেরা আমাদের কাছে এসে সমর্থন চান। আমরা তখন স্বচ্ছ বোর্ড গড়ার শর্ত আরোপ করে তাঁদের সমর্থন করেছি।
কারণ এভাবে যদি বোর্ড গঠন পিছিয়ে যেত, তাহলে এলাকার মানুষের পরিষেবা পেতে অসুবিধে হয়ে যেত। আর আমরা এখন যারা ISF করি, তাঁরা একটা সময় তৃণমূলকেই সমর্থন করতাম। দুর্নীতির কারণে আমরা ISF-এ যোগ দিয়েছি। যে গোষ্ঠীকে আমরা সমর্থন করেছি, তাঁদের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গেই মূলত আমাদের লড়াই’। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা মাফুজার রহমান বলেন, ‘ভোটাভুটি বা মত প্রকাশের মধ্য দিয়ে বোর্ড গঠন হয়েছে। ISF কাদের সমর্থন করেছে জানিনা।
তবে তৃণমূল বোর্ড দখল করেছে, এটা এলাকার মানুষের জয় হয়েছে’। যদিও পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ‘দলের নির্দেশকে পুরোপুরি বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এদিন ভোটাভুটির মাধ্যমে বোর্ড গঠন হয়েছে। আর এক্ষেত্রে ISF-র সঙ্গে জোট করেছে দলেরই সদস্যদের একটি অংশ।
এটা লজ্জার। যে ISF দুষ্কৃতীদের হাতে আমাদের অনেক কর্মীকে প্রাণ ত্যাগ করতে হয়েছে, আহত হতে হয়েছে। সেই ISF-এর সঙ্গে জোট কোনও তৃণমূল কর্মী কখনই মেনে নেবেন না’। তবে এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।