দিল্লিতে অমৃত বাটিকা তৈরির জন্য বীর সেনানীদের পূন্য ভূমি থেকে মাটি সংগ্রহ করার কথা জানিয়ে চিঠি আসে দিন দুয়েক আগে।আজ আসেন বিএসএফ এর ছয় জওয়ান।হুগলির বৈঁচী গ্রামের এমনই দুই স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রণব কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও রামকৃষ্ণ বসুর ভিটে থেকে মাটি সংগ্রহ করেন ভারতীয় সেনা। বৈঁচী গ্রামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বীর সেনানীদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে সম্মান জানান বিএসএফ এর কমান্ডার।
১১৮ ব্যাটেলিয়ান এর বিএসএফ কমান্ডার গনেশ দত্ত গৌতম বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এমন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পূন্য ভূমি থেকে মাটি সংগ্রহ করে দিল্লীতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ সেখানে অমৃত বাটিকা তৈরীতে সেই মাটি ব্যবহার করা হবে। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ১৯৪২ সালের কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট বা ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিশেষ ভূৃমিকা ছিল।তাই সেই সময় যারা এই আন্দোলন করেছিলেন। আন্দোলন করতে গিয়ে জেল খেটেছিলেন তাদের পরিবারকে এভাবে সম্মান জানাতে উদ্যোগ নিয়েছে দেশের সরকার।
প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গান্ধীজির নেতৃত্বে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন বাবা। তৎকালীন ইউনিয়ন বোর্ডের অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রণব কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও রামকৃষ্ণ বসু পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। প্রথমে হুগলি জেল তারপর প্রেসিডেন্সি জেল আলিপুর জেলে কারাবাস করে ১৯৪৪ সালে ছাড়া পান। ১৯৭২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাবাকে তাম্রপত্র দিয়ে সম্মান জানিয়েছিলেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মাটি নিয়ে যাওয়ার এই অনুষ্ঠানের খবর পেয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। অনেকেই জানান, প্রণব কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও রামকৃষ্ণ বসুর স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস সকলেরই জানা। তাঁরা এই এলাকার গর্ব। তাঁদের জন্ম ভিটের মাটি Mera Mati Mera Desh প্রকল্পে ঠাঁই পাবে, এটা জেনে স্থানীয় বাসিন্দারাও আপ্লুত।