দেবারতি ঘোষ: উত্তর কলকাতার এক বিজেপির নেতার বাড়ির একাংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পুরসভায় সরব বিজেপি কাউন্সিলররা। এনিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির কাউন্সিলরদের মধ্যে একপ্রস্থ ধস্তাধস্তি হয়ে যায়। বিষয়টি আজ অধিবেশনে তোলেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। বিষয়টি নিয়ে তাঁকে মেয়রের সঙ্গে কথা বলতে বলেন মালা রায়। এদিকে, অধিবেশন শেষ হতেই গোলমাল শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন-সোমবার ফের পরিবর্তন আবহাওয়ার, তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে
অধিবেশন শেষ হতেই কাউন্সিলর ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি কাউন্সিলররা। আর তা নিয়েই তৃণমূল কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিজেপির গোলমাল শুরু হয়ে যায়। ওই বৈঠকে ছিলেন বিজেপি কাউ্নিসলর সজল ঘোষ, মীনা দেবী পুরোহিত, সুনীল সিংরা। তবে তৃণমূলের আপত্তি কলকাতা বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষকে নিয়ে। সাংবাদিক সম্মেলন কিছুক্ষণ চলার পর এনিয়ে আপত্তি তোলেন তৃণমূল কাউন্সিলর মহেশ শর্মা। তাঁর দাবি, কাউন্সিলর ক্লাব কাউন্সিলরদের জন্য। সেখানে বিজেপির সভাপতি কেন? এনিয়ে তোলাপাড়া শুরু হয়ে যায়। দুপক্ষের কাউন্সিলররা একে অপরের দিকে তেড়ে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা হামলা চালিয়েছে তাদের উপরে।
বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, আমাদের যদি কোনও টেকনিক্যাল কোনও ভুল হয় তাহলে পুরসভার নিরাপত্তারক্ষীরা আসবে, পুরসভার সেক্রেটারি আসবেন। আমার প্রশ্ন, কেন কাউন্সিলররা গুন্ডাদের মতো রে রে করে ঝাঁপিয়ে পড়েবেন? কাউন্সিলর হয়ে মহিলাদের গায়ে হাত দিয়েছে। যাকে নিয়ে আপত্তি সে কলকাতার করদাতা। আর যদি আমার ভুল হয়েও তাকে তাহলে তার বিচার কে করবে? কাউন্সিলররা? একি পঞ্চায়েতের বিচার চলছে?
এনিয়ে মালা রায় বলেন, সিআইএসএফ কাউন্সিলরদের গায়ে হাত দেয় কোন অধিকারে? পুরসভা রেকর্ডে এজিনিস নেই। সভা শেষ হল কাউন্সিলররা তাদের তাদের কোনও কাজ থাকলে করতে পারেন। কিন্তু বাইরের কোনও রাজনৈতিক নেতা এভাবে ঢুকতে পারে না।