অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে আগেই পুলিশ গ্রেফতার করে। তৃণমূল কংগ্রেসের কৈজুরী গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যকরী সভাপতি হাবিবুর ইসলাম গাজি বলেন, ‘BJP, CPIM ও নির্দল পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’ ধৃতরা হলেন অর্জুন মণ্ডল, সুজিত মণ্ডল ও শঙ্কর মণ্ডল।
তিন অভিযুক্তকে গতকাল শুক্রবার মহকুমা আদালত ১০ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। তদন্ত করে গোবিন্দ মণ্ডল খুনের পিছনে যার প্রত্যক্ষ মদত ছিল সেই স্বপন মন্ডল নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আজ শনিবার সকালবেলা ভাদুরিয়া গ্রাম থেকে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়।
স্বরূপনগর থানার পুলিশ তাকে পাঁচদিনের পুলিশে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে বসিরহাট মহকুমা আদালতের কাছে। আজ দুপুর বেলা নিহত তৃণমূল কর্মী গোবিন্দ মণ্ডলের বাড়িতে আসেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, স্বরূপনগরের বিধায়ক বীনা মণ্ডল সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
মৃতের পরিবারের পাশে রয়েছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। ওই পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। তিনি বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলে বলেন, ‘বিরোধীরা বারবার অশান্ত করার চেষ্টা করছে রাজ্যকে। যেসব নেতারা ৩৫৫ ও ৩৫৬ ধারার কথা বলছেন তারাই পরিকল্পিত করে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করছেন।’
পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে না পেরে তারা তৃণমূলকে পিছন দিক থেকে চক্রান্ত করে হেনস্থা করছেন। এতে লাভ হবে না। গোটা তৃণমূল সক্রিয়ভাবে এর মোকাবিলা করবে। আমরা সবরকমভাবে গোবিন্দ মণ্ডলের পরিবারের পাশে থাকবো।’
মৃতের ছেলে সমীরন মণ্ডল বলেন, ‘ছুটে গিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেও বাবাকে বাঁচাতে পারিনি। মত্ত অবস্থায় এমন মারধর করল যে বাবা প্রাণ হারালেন। চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া গেল না। আমাদের এখন একটাই দাবি, অভিযুক্ত প্রত্যেকটি লোকের চরম শাস্তি হোক। আজ সেই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বকেও জানিয়েছি।’
উল্লেখ্য, মদ্যপ যুবকদের উদ্যম নৃত্য ও সাউন্ড বক্সের বিকট শব্দ সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করতে যান তৃণমূল সক্রিয় কর্মী বছর ৬৮ এর গোবিন্দ মণ্ডল। প্রতিবাদ করলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে ওই যুবকের দল। তাঁর স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তিনিও আক্রান্ত হন। আক্রান্তের ছেলে তৃণমূলের যুব নেতা সমীরণ মণ্ডলকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।