তপন মণ্ডল হাসনাবাদ
মাটির সঙ্গে লেগে আছে খেজুর গাছ। তাতে ঝুলছে থোকা থোকা খেজুর। সৌদি আরবের মরিয়াম জাতের খেজুর চাষ করে তাক লাগালেন হাসনাবাদের এক চাষি। যা দেখতে গ্রামে এখন ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। খেজুরের স্বাদ নিতেও আসছেন কেউ কেউ। হাসনাবাদের বেনা গ্রামে কৃষক আব্দুল হামিদ মণ্ডলের দাবি, তিন বছরের মধ্যে গাছে ফলন এসেছে।

Meat Eating Plants: পাতায় পড়লেই কপাৎ করে পেটে! ভয়ংকর মাংসাশী গাছগুলিকে চেনেন?
বেনা গ্রামের আব্দুল হামিদ মণ্ডল জানান, বিভিন্ন সময়ে গ্রাম থেকে আরবে হজে যাওয়া মানুষদের কাছ থেকে খেজুরের বীজ সংগ্রহ করতেন তিনি। তা থেকে চারা তৈরি করে বছর তিনেক আগে নিজের দু’কাঠা জমিতে ১৫টি গাছ লাগান। এরপর বিভিন্ন সময়ে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করার পর গাছগুলি বড় হতে থাকে। কয়েক মাস আগে একটি গাছে ফল আসে। গাছটির উচ্চতা কম থাকায় মাটির উপর প্লাস্টিকের বস্তা পেতে দিয়ে ফলগুলিকে রক্ষা করেন ওই কৃষক। কয়েকদিন হলো গাছের খেজুর পাকতে শুরু করেছে। খবর পেয়ে এলাকার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন কৃষক আব্দুল হামিদ মণ্ডলের খেজুর বাগানে। গাছ থেকে পাকা খেজুর নিজে হাতে তুলে গ্রামবাসীদের দিচ্ছেন আব্দুল হামিদ।

Hilsa Fish : আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ ধরা পড়ল নাফ নদীতে, দাম জানেন?
হাসিবুর রহমান নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘গ্রামের এক যুবক আরবের খেজুর চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। গাছে ফলন এসেছে। খেজুরগুলির স্বাদও ভালো। আশা করি তার এই খেজুর চাষ সফল হবে।’ খেজুর চাষি আব্দুল হামিদ মণ্ডল বলেন, ‘গ্রামে আমার একটা ছোট মোটর গ্যারেজ আছে। সেখানে একদিন আরব থেকে আসা এক হাজি সাহেব আমাকে আরবের খেজুর খেতে দেয়। আমি তার বীজ থেকে চারা তৈরি করি। তারপর আরবে যাওয়া হাজি সাহেবদের কাছ থেকে খেজুরের বীজ আনিয়ে বাড়িতে চাষ শুরু করি। এ বছর একটি গাছে ফল এসেছে। আশা করি আগামী বছর আরও কয়েকটি গাছে ফল আসবে।’ ইতিমধ্যে বাড়ির ছাদে ২৫০টি নতুন চারা তৈরি করেছেন আব্দুল। ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক ভাবে আরবের খেজুর চাষ করতে চান তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version