পৃথিবীতে মা ও সন্তানের বন্ধনের কোনও বিকল্প নেই। মায়ের মৃত্যুর খবর শুনেই আত্মহননের পথ বেছে নিল এক যুবক। মর্মান্তিক ঘটনা বীরভূম জেলার বীরচন্দ্রপুর গ্রামে। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। মাতৃঅন্ত প্রাণ ছেলের এহেন পরিণতিতে শোকস্তব্ধ গ্রামবাসী।

Birbhum News : প্ল্যাটফর্মেই পৃথিবীর আলো দেখল ফুটফুটে কন্যাসন্তান, প্রসূতির সাহায্যে এগিয়ে এলেন রেলকর্মীরা
পথ দুর্ঘটনায় সকালে মৃত্যু হয়েছে মায়ের। আর সেই শোকেই এবার আত্মঘাতী হল ছেলে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুর থানার বীরচন্দ্রপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, শঙ্করী লেট নামের এক মধ্যবয়স্কা মহিলা শুক্রবার তারাপীঠের বেলিয়া মোড় এর কাছে পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। তিনি তারাপীঠ থেকে অটোয় করে রামপুরহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। পাশাপাশি রামপুরহাটের দিক থেকে একটি চারচাকা গাড়ি তীব্র গতিতে তারাপীঠের দিকে আসছিল। সেই সময়ই চারচাকা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে অটো রিক্সাটিকে।

Birbhum News : ছিনতাইয়ের আগেই গ্রেফতার! বীরভূমে ফের আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃত ১
ঘটনায় গুরুতর জখম হন বীরচন্দ্রপুর এর বাসিন্দা শংকরী দেবী সহ মোট সাতজন। আহতদের সকলকেই দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু শনিবার সকালে মৃত্যু হয় শংকরী দেবীর। আর মায়ের মৃত্যুই মেনে নিতে পারেননি তার ছেলে মিলন লেট।

Birbhum Zilla Parishad : ‘দিল্লি যাব দেখা করতে!’ ‘গুরু’ অনুব্রতর অভাব বোঝালেন ‘বিরোধী’ কাজল
গ্রামবাসীদের দাবি, মিলনকে নিয়ে তাঁর মায়ের দেহ রামপুরহাট হাসপাতাল থেকে আনতে যান প্রতিবেশীরা। মিলন প্রতিবেশীদের পুকুর পাড়ে বসিয়ে শৌচের নাম করে একটু দূরে চলে যায়। দীর্ঘক্ষণ সে আসছে না দেখে অবশেষে খোঁজ শুরু করে তার প্রতিবেশীরা। আর মিলনকে খুঁজতে গিয়ে তাঁরা দেখেন, ওই এলাকারই একটি গাছের গলায় গামছা নিয়ে ঝুলছেন।
গ্রামবাসীদের দাবি, মিলন লেট (৪০) অবিবাহিত ছিলেন। তিনি মাকে খুব ভালোবাসতেন। মায়ের দুর্ঘটনা হওয়ার পর থেকেই খুব চিন্তিত ছিলেন মিলন। আজ মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে কার্যত ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা বলে এরকম ঘটনা ঘটাবে তা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি গ্রামবাসীরা। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে আছে মল্লারপুর থানার পুলিশ।

‘অনুব্রত মণ্ডল আমার রাজনৈতিক গুরু’

আদৌ কি আত্মহত্যা না এর পেছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোন ঘটনা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন তারা। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মায়ের মরদেহ রেখে ও কাছেই গিয়েছিল। মায়ের মৃত্যুর ও ভেঙে পড়েছিল। আমরা বুঝতেই পারিনি, ও এরকম একটা কাণ্ড ঘটাবে। এরকম ঘটনা আমি কোনওদিন দেখিনি। গোটা ঘটনায় গ্রামের লোকজন শোকস্তব্ধ গিয়ে যান। পুলিশ ছেলের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version