উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। এখনও পর্যন্ত একাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এলাকায় বেআইনি বাজি কারাখানতেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। এমনকী পুলিশ ও রাজ্যের মন্ত্রীও সব জানতেন বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। এলাকাবাসীরা প্রতিবাদ করলে তাঁদের ওপর চড়াও হতে বলেও উঠছে অভিযোগ। ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যপাক উত্তেজনা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বেআইনি ওই বাজি কারখানায় শব্দবাজি তৈরি হত। মজুদ ছিল প্রচুর পরিমানে বাজির মশলা। ওখানে বোমা তৈরি হত বলেও অভিযোগ কারও কারও। এদিন ভয়াবহ বিস্ফোরণ কার্যত কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের তীব্রতায় পুরোপুরি উড়ে গিয়েছে ওই কারখানাটি। এমনকী আশেপাশের বেশকয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ভিতরে ও ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।

Murshidabad News : সাতসকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল এলাকা, রঘুনাথগঞ্জে উড়ে গেল ICDS সেন্টারের ছাদ
এদিকে খবর পেয়ে ঘটানাস্থলে পৌঁছা. বিশাল পুলিশ বাহিনী। রয়েছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। শুরু হয়েছে আগুন নেভানোর চেষ্টা। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, দত্তপুকুর থানার পুলিশ ও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা টাকা নিয়ে ওই সমস্ত বেআইনি বাজি কারখানাগুলি চালানোর ক্ষেত্রে মদত দিত। এমনকী রাজ্যের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এলাকাবাসীদের আরও অভিযোগ, শুধু মাত্র ওই বাড়িতেই নয়, এলাকার আরও একাধিক বাড়িতে চলছে বেআইনি বাজি কারখানা। আর সেই সমস্ত কারখানাগুলির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকী এলাকার একটি বাড়িতে ভাঙচুরও চালান স্থানীয়রা।

Pingla Blast : পিংলার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ৮ বছর পার, অভিযুক্ত ৩ জনের ১৫ বছরের কারাদণ্ড
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলেও একটি বেআইনি বাজি কারখানায় ঘটে যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেই বিস্ফরণেও মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। এমনকী বেআইনি বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগেরও মৃত্যু হয়। প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। সেই ঘটনাতেও স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, ভানু বাগের বাজি কারখানার আড়ালে চলত বোমা তৈরির কাজ। কারখানার লাইসেন্সের মেয়াদ ২০২০ সালে শেষ হয়ে গেলেও কাজ বন্ধ হয়নি। ২০২২ সালের নভেম্বরে ভানু বাগ গ্রেফতারও হয়েছিল। যার জেরে কয়েকমাস বন্ধ ছিল কাজ। কিন্তু তারপর ফের চালু হয় কারখানা। সেক্ষেত্রেও পুলিশ ও প্রশাসন সব জানত বলেই অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version