দত্তপুকুর বিস্ফোরণে প্রথম থেকেই এনআইএ তদন্তের দাবি তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, ‘ওই এলাকার মানুষ প্রকাশ্যে বলেছেন প্রতি দোকান পিছু ৫০ হাজার টাকা করে আইসি ও স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী তোলা তোলেন। জাকির হোসেনকে যে স্প্লিন্টার দিয়ে খুনের চেষ্টা হয়েছিল, সেখানেও এখান থেকেই বোমার বস্তা সাপ্লাই করা হয়েছি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। যে ধরা পড়েছে সে-ও জাকির হোসেনের ওপর হামলায় যুক্ত। রাজ্য সরকার আজই এনআইএ-কে তদন্তভার হস্তান্তর করুক।’
এছাড়া সরাসরি রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিও জানান শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ‘রাজ্য সরকার আজই এনআইএ-কে তদন্তভার হস্তান্তর করুক।’ ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিবৃতিও দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী।
গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কদের একটি দল দত্তপুকুরের বিস্ফোরণস্থলে যায়। তিনি ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর সাময়িকভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সেখানেও ‘আরডিএক্স’ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘এই বিস্ফোরণে RDX মজুত ছিল, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি দেখলেই তা বোঝা যাচ্ছে। বাজি ফেটে বাড়ি উড়তে পারে না।’ একইসঙ্গে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। পুলিশ প্রমাণ লোপাট করছে বলেও ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
দত্তপুকুরের এই বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশকিছু বাড়ি। ইতিমধ্যেই দত্তপুকুর থানার আইসি ও নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন এনআইএ-র দুই আধিকারিক এবং ফরেনসিক দল। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনায় শুরু থেকেই রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন এলাকাবাসীদের একাংশ। যদিও সেই অভিযোগ সরাসরি খারিজ করেছেন রথীন ঘোষ।