ডাকাতির ঘটনায় সাংবাদিক সম্মেলন করে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান ডিআইজি রশিদ মুনির খান। উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট জেলার পুলিশ সুপার ডক্টর কে কান্নান। পুলিশের তরফে জানানো হয়, পুরো ঘটনার পিছনে রয়েছে বিহারের একটি গ্যাং। আগেই এসে পুরো বিষয়টি রেইকি করে গিয়েছিল দলের দুজন। পরে এদিন সকালে বিহার থেকে কল্যাণী এসে রাণাঘাটে পৌঁছয় দুজন। সেখান থেকে দলের বাকি সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে চাবি গেটের সেনকো শাখায় ডাকাতি করতে যান তাঁরা।
ডিআইজি জানান, আজ আনুমানিক তিনটে নাগাদ তারা ক্রেতা সেজে শোরুমে প্রবেশ করে। তাদের প্রত্যেকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। দোকানে বন্দুক দেখিয়ে ডাকাতি শুরু হতেই খবর আসে পুলিশের কাছে। দোকানের উপর তলায় থাকা এক কর্মী সিসিটিভি মনিটর দেখে আইসিকে ফোন করে খবর দেন। দুপুর তিনটে দশ নাগাদ ডাকাতির খবর পেয়ে প্রায় ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ কর্মীরা। টিমে ছিলেন তিনজন সাব ইনস্পেকটর ও একজন এসআই।
দোকানের বাইরে পৌঁছতেই পুলিশ এসেছে বুঝতে পেরে গুলি চালাতে চালাতে দোকান থেকে বেরিয়ে বাইকে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে তাড়া করে পুলিশও। গুলি চালাতে চালাতেই প্রায় ২০০ মিটার ধাওয়া করা হয় তাদের বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশের গুলিতে আহত হন দু’জন দুষ্কৃতী। রেল গেট পেরনোর আগেই পুলিশ কর্মীরা ধরে ফেলেন তাঁকে। দুটি বাইক ছাড়া তাদের কাছ থেকে মোট চারটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং ২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে কিছু অবৈধ বাইকের নাম্বার প্লেট এবং আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি আসল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিহারের যে দুই দুষ্কৃতীকে ধরা হয়েছে তার মধ্যে একজনের বাড়ি বৈশালি ও একজনের বাড়ি ছাপড়ায়। পাশাপাশি জানানো হয় এই চার দুষ্কৃতীকে আগামীকাল রানাঘাট মহাকুমা আদালতে তোলা হবে এবং আদালতে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।