সূত্রের খবর, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই বিধাননগর পুরসভাকে এই কাজ শুরুর জন্য টেন্ডার ডাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, কাজ শুরুর প্রথম ধাপে বরাদ্দ টাকার ৫০ শতাংশ দেওয়া হবে। কাজ শেষ হওয়ার পর বকেয়া ৫০ শতাংশ টাকা পুরসভাকে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
বিধাননগর পুরসভা এলাকায় মোট ৪১টি ওয়ার্ড রয়েছে। সল্টলেক ছাড়াও বাগুইআটি, রাজারহাট এলাকার বেশ কিছু অংশ এই পুর এলাকার মধ্যে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুর এলাকার বেশ কিছু রাস্তার হাল দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। সল্টলেকের অবস্থা সব থেকে বেশি গুরুতর। সল্টলেকের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। যার ফলে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। এই নিয়ে বিধাননগর পুরসভার ভুরি ভুরি অভিযোগ গিয়েছে। এমনকী পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছেও এই নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে।
একাধিক অভিযোগ জমা পড় নড়েচড়ে বসে বিধাননগর পুরসঙা কর্তৃপক্ষ ও পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সেই কারণে পুজোর আগেই রাস্তা মেরামতির জন্য তড়িঘড়ি ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। টাকা আসার পরই তৎপর হয়েছে বিধাননগর পুরসভা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া। দুর্গাপুজোর আগেই বেহাল রাস্তা মেরামতির কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি জমা জলের সমস্যা দূর করতে নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী ফোনে এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বিধাননগরের উন্নয়নের জন্য এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যাঁরা রাস্তা তৈরি করবেন, তিন বছরের মধ্যে খারাপ হলে মেরামতির দায়িত্বও সেই সংস্থাকে নিতে হবে। এই নিয়ে নিয়মের বিষয় আমার খুবই কঠোর। ইতিমধ্যেই ৪১ জন কাউন্সিলর পুরসভাতে তাঁদের ওয়ার্ডে থাকা বেহাল রাস্তার তালিকা দিয়েছেন। পুজোর আগেই আমরা এই কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। বৃষ্টি না হলে রাস্তার কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে।’