যা বললেন রূপলেখা…
এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে রূপলেখা মিত্র বলেন, ‘সিটিং ডিরেক্টর ছিলাম, সাইনিং অথরিটি ছিল না। জমি কেনা-বেচাতেও সাইনিং অথরিটি ছিল না। ১০ বছর আগের নথি জোগাড় করাই চ্যালেঞ্জ। এসব কিছু জানি না, বুঝিও না।’ এমনকী নুসরত জাহানের সঙ্গে কোনওদিন দেখা হয়নি বলেও দাবি করেন রূপলেখা। আগামী বুধবার তলব করা হয়েছে তাঁকে।
এর আগে ওই সংস্থাকে ঘিরেই এক প্রতারণার অভিযোগে অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে তলব করে ইডি। আগামী মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে তাঁকে। অভিযোগ, ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রবীণ নাগরিকদের থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছিল সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিডেট। সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন তিনি। অভিযোগ, পরে সেই ফ্ল্যাট আর তুলে দেওয়া হয়নি প্রবীণদের হাতে। সেই বিষয়টি নিয়ে প্রথম সরব হন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা।
কড়া প্রতিক্রিয়া শঙ্কুর
এই বিষয়ে শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, আর্থিক তছরুপের তদন্ত করে ইডি। অ্যাকশান নিতে হবে ইডিকে। ইডি নিলে ভাল, নয়তো দরকার হলে ইডির বিরুদ্ধেও কোর্টে যাব। বসে থাকবো এই সিনিয়র সিটিজেনদের জাস্টিসের জন্য। শেষ দেখে ছাড়বো।’ শঙ্কু আরও বলেন, আপনি (নুসরত জাহান) ক্ষমতায় আছেন, আপনি সাংসদ, তাই আপনি যা খুশি তাই করবেন, আর এই মানুষগুলো কেঁদে মরবেন! ৮ জন ইতিমধ্যেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁদের বিধবারা জাস্টিস চাইছেন। এই জিনিস হতে দেব না। একবিন্দু রক্ত থাকলেও এর শেষ দেখে ছাড়ব।’
নুসরত যা জানিয়েছেন…
এদিকে নোটিশের প্রেক্ষিতে নুসরত জানান, দিনভর কাজে ব্যস্ত থাকি, ‘কলকাতায় এসে যদি জানতে পারি এই ধরণের কোনও নোটিশ এসেছে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই যাবতীয় পদক্ষেপ করব।’ পাশাপাশি ইডি ডাকলে তিনি অবশ্যই যাবেন বলেও জানিয়ে দেন নুসরত। এর আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে নুসরত দাবি করেন, তিনি ২০১৭ সালে ওই কোম্পানি ছেড়ে দেন। তৃণমূল সাংসদ আরও জানান, সংস্থা থেকে তিনি ফ্ল্যাট কেনার জন্য প্রায় ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। পরে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা সুদ সমেত ফেরতও দিয়ে দিয়েছেন।