পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র্রে জানা গিয়েছে, দশ বছর আগে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় কাকলির। তাঁর একটি সন্তানও রয়েছে। তবে একবছর আগে শৌভিক দাস নামে যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপরই স্বামী ও সন্তানকে ছেড়ে সেই যুবকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন মহিলা। শিলিগুড়ির ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতিনগর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন কাকলি ও শৌভিক। সেখানেই বুধবার রাতে কাকলির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
খবর পেয়ে কাকলির বাবা মা ও পরিবারের সদস্যরা সেখানে যান। তাঁদের অভিযোগ মেয়েকে খুন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভক্তিনগর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাবা সুরেন্দ্র দাস। এই ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। ঠিক কী কারণে মহিলার রহস্যমৃত্যু হলে সেই নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশও।
মৃতার বাবা সুরেন্দ্র দাস বলেন, ‘, মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম ধুমধাম করে। কিন্তু একবছর ধরে শৌভিক দাস নামে ওই যুবকের সঙ্গে থাকছিল। আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। ওই যুবক মেয়েকে আমাদের সঙ্গে ফোনে কথা অবধি বলতে দিত না। ওই যুবকই আমার মেয়েকে খুন করেছে।’
মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন এদিন ভক্তিনগর থানার পুলিশ শৌভিক দাসকে আটক করেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত হয়। এরপর সন্ধ্যায় যুবকের বাড়ির সামনে দেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা। মৃতার স্বামীও সেখানে ছিলেন। মৃতার স্বামী বলেন, ‘আমাকে ছেড়ে ওই যুবকের সঙ্গে থাকছিল কাকলি। আমার নামে থানায় মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ওই যুবক কাকলিকে খুন করেছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে। যে বাড়িতে ভাড়া ছিল সেই বাড়ি মালিক ফোন করে মৃত্যুর খবর জানায়।’