তাপস প্রামাণিক
রাজ্যে নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির জন্য বেসরকারি সংস্থাকে সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো ব্যবহার করতে দেবে সরকার। একই ফর্মুলায় রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি উদ্যোগে চালু হবে নার্সিং কলেজ। এ ব্যাপারে দিন কয়েক আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও মেডিক্যাল কলেজ খুলতে নিজস্ব হাসপাতাল থাকা বাধ্যতামূলক। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ খোলার ব্যাপারে অনেকের আগ্রহ থাকলেও শুধুমাত্র নিজেদের হাসপাতাল না থাকায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না।

Medical College : পরিষেবা বাড়াতে বাংলায় নয়া ৪ মেডিক্যাল কলেজ, শীঘ্রই আবেদন কেন্দ্রের কাছে
এই জট কাটাতেই বেসরকারি উদ্যোগপতিদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রের খবর, হাসপাতাল না থাকায় যারা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ খুলতে পারছে না, মূলত তাদেরই সরকারি হাসপাতাল ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। নার্সিং কলেজ খোলার জন্যও সরকারি হাসপাতালের দরজা খুলে দেওয়া হবে। বিনিময়ে নির্দিষ্ট হারে ফি দিতে হবে। সরকারি হাসপাতালে যারা নিজেদের খরচে মেডিক্যাল কলেজ বা নার্সিং কলেজ খুলতে চায়, তেমন সংস্থার থেকে দরপত্র (এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট) চেয়ে দিন কয়েক আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর।

West Bengal News : সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের রোগী দেখা ও অস্ত্রোপচারের ‘টার্গেট’ বেঁধে দিল স্বাস্থ্যভবন
সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ খোলার জন্য ন্যূনতম ৩০০ বেডের কোনও সরকারি হাসপাতাল বরাদ্দ করা হবে। সেটা দেখিয়ে রাজ্যে নতুন মেডিক্যাল কলেজ খোলার জন্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের কাছে আবেদন জানানো যাবে। যে কোনও শিল্পসংস্থা, ব্যক্তিগত উদ্যোগপতি, পার্টনারশিপ ফার্ম, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি, সোসাইটি বা ট্রাস্ট সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ খোলার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাতে পারবে। ৩০০ বেডের একটি সরকারি হাসপাতাল ব্যবহারের জন্য বছরে সরকারকে দিতে হবে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। বেডের সংখ্যা ৩৫০ হলে দিতে হবে ৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।

Swasthya Sathi : মহার্ঘ নিউক্লিয়ার মেডিসিনে এ বার স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধাও, রোগনির্ণয়ের গুচ্ছ ব্যবস্থা চালু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস ক্যানসার হাসপাতালে
নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা জানান, এর ফলে একদিকে যেমন রাজ্যে মেডিক্যাল ও নার্সিং কলেজের সংখ্যা বাড়বে, তেমনই সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সের অভাব অনেকখানি মিটবে। সরকারি হাসপাতাল ভাড়া দিয়ে বছরে সরকারের কয়েক কোটি টাকা রোজগার হবে। ঠিক হয়েছে, প্রথমে পাঁচ বছরের জন্য বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে সরকারি হাসপাতাল ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। সেটা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ বছর পর্যন্ত করতে পারে সরকার। তার মধ্যেই নিজস্ব হাসপাতাল বানিয়ে ফেলতে হবে।

Gujarat News : বাবার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে, ২৮ সপ্তাহে গর্ভপাতের আর্জি
বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ খোলার জন্য কোন কোন সরকারি হাসপাতালকে বরাদ্দ করা হবে, সেটা সরকারই ঠিক করে দেবে। কোনও বেসরকারি সংস্থা নিজেদের ইচ্ছামতো সরকারি হাসপাতাল বাছাই করতে পারবে না। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ খোলার জন্য মূলত জেলাগুলিকে টার্গেট করা হচ্ছে। বিশেষ করে যে সব সব জেলা এবং মহকুমায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো অপেক্ষাকৃত খারাপ, সেখানেই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ খোলার অনুমতি দেবে সরকার। প্রস্তাব জমা পড়ার পর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব ঠিক থাকলে নভেম্বরের মধ্যেই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version