এই সময়: অন্তঃসত্ত্বা, প্রসূতিদের কোনও ভাবেই প্রত্যাখ্যান করা যাবে না, ভর্তি করাতে হবে- গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয় কলকাতার সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তার পরেও গিরিশ পার্কের পিয়া মণ্ডল নামে এক গর্ভবতীকে ভর্তি না-করিয়ে শুধু একটি ইঞ্জেকশন দিয়েই ছেড়ে দেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা, এমনটাই অভিযোগ। পরিবারের আরও অভিযোগ, ভর্তি না-নেওয়ার জেরেই শনিবার পিয়ার সদ্যোজাত সন্তানের মৃত্যু হয়।

HIV Test : বিনা পরীক্ষায় ডিসচার্জ স্লিপে এইচআইভি পজিটিভ, আসানসোল জেলা হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ
হাসপাতালের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ, পিয়ার দাদা সমীর মণ্ডল বলেন, ‘কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মতো হাসপাতাল থেকে এমন ঘটনা কোনও ভাবেই কাম্য নয়।’ ওই পরিবারের সদস্যদের দাবি, গত বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর পিয়াকে ভর্তির জন্য হাসপাতালে আনা হয়েছিল। কিন্তু সে দিন ভর্তি নেওয়া হয়নি। পরদিন, বৃহস্পতিবার‌ হাসপাতালে গিয়েও বেড নেই দেখে তাঁরা ফিরে যান। শুক্রবার রাত থেকেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় ওই মহিলার। শনিবার ভোরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এ বার বেড মিললেও অবশ্য বাঁচানো যায়নি সদ্যোজাতকে।

Medical Colleges : এবার সরকারি হাসপাতালে খোলা যাবে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, বিজ্ঞপ্তি স্বাস্থ্য দফতরের
শুরুতেই ভর্তি করানো হলে ওই ঘটনা ঘটত না বলেই দাবি পরিবারের সদস্যদের। গর্ভবতী, প্রসূতিদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেন গাফিলতি না-হয়, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে বিষয়ে বারবার সতর্ক করেছেন সব হাসপাতালগুলিকে। তার পরেও ওই ঘটনা। যদিও অভিযোগ প্রসঙ্গে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, গত বুধবার কেন ভর্তি করানো হয়নি, সে দিন গর্ভস্থ শিশুটির শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল না, সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version