তাই পুলওয়ামায় শহিদ সিআরপিএফ জওয়ান জগন্নাথ রায়ের স্ত্রী তাপসী রায়কে টিকিট দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন সুকান্তরা। ভোটে হারার পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সুকান্তদের কাছে জানতে চেয়েছেন, প্রার্থী নির্বাচনে কোনও ত্রুটি ছিল না তো? দলেরই কোনও নেতাকে টিকিট দিলে কি ফলাফল অন্যরকম হতে পারত? সূত্রের খবর, শনিবার রাতে কলকাতায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষের সঙ্গে সুকান্তদের এ বিষয়ে একপ্রস্ত আলোচনাও হয়েছে।
বিজেপির অন্দরের খবর, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চেয়েছিলেন, ধূপগুড়ির কোনও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতাকে টিকিট দেওয়া হোক। সেটা একান্তই সম্ভব না হলে নিদেনপক্ষে ধূপগুড়ির প্রয়াত দলীয় বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের পরিবারের কাউকে প্রার্থী করা হোক। শুভেন্দুর সঙ্গে সহমত ছিলেন উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়কদের অনেকেই। কিন্তু সে রকম কিছু না হওয়ায় উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়কদের বেশ কয়েকজন ভোট-প্রচারে উৎসাহ হারিয়েছিলেন বলে গেরুয়া শিবিরের একাংশের দাবি।
এক বিজেপি বিধায়কের কথায়, ‘তাপসী রায়ের পরিবার তৃণমূলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটা কারও অজানা নয়। তারপরও তাঁকে টিকিট দেওয়া হলো! অথচ ধূপগুড়ির যে নেতারা দিনের পর দিন মার খেয়ে দলটা করছেন, তাঁদের কথা একবারও ভাবা হলো না। এই রাজনৈতিক বোধবুদ্ধি নিয়ে আর যাই হোক তৃণমূলকে হারানো যায় না।’ সম্প্রতি কোচবিহারের বিজেপি নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত ফেসবুক লাইভ করে ধূপগুড়ির প্রার্থী নির্বাচন সঠিক হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন।
সূত্রের খবর, ধূপগুড়িতে প্রার্থী নির্বাচনের সময়ে উত্তরবঙ্গের বিধায়কদের গুরুত্ব না দেওয়ার বিষয়টি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বর কানে পৌঁছেছে। ভোটের দিন পনেরো আগে থেকেই ধূপগুড়িতে ঘাঁটি গেড়েছিলেন বিজেপি নেতা অমিতাভ। শেষ ছ’দিন ধূপগুড়িতে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন সুকান্তও। বিধায়কদের অভিযোগের পাল্টা হিসেবে তাঁদের এই ‘অক্লান্ত পরিশ্রম’-এর উপাখ্যানও গেরুয়া শিবিরের একাংশ প্রজেক্ট করছেন দিল্লিতে।