জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারত-পাকিস্তান (IND vs PAK) মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বৃষ্টিস্নাত ক্যান্ডিতে প্রথমে ব্যাট করে, ভারত করে ২৬৬ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে একটি বলও করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে বৃষ্টিতে ম্যাচ বাতিল হয়ে গিয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে যায়। ম্য়াচে পাক পেসারদের দাপটে ভারত ব্য়াট করতে নেমে হামাগুড়ি দিয়েছিল মাঠে। ৬৬ রানে চলে গিয়েছিল দলের চার উইকেট। এরপর হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya) ও ঈশান কিশান (Ishan Kishan) দলের মুখরক্ষা করেছিলেন। তাঁরা ১৩৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। ৯০ বলে ৮৭ করে আউট হন হার্দিক। অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ৭টি চার ও ১টি ছয় মেরেছিলেন হার্দিক। ব্য়াট করেছিলেন ৯৬.৬৬-এর স্ট্রাইক রেটে। ৮১ বলে ৮২ রান (৯টি চার ও ২টি ছয়) করে আউট হয়ে যান ঈশান। দুই ক্রিকেটারই অল্পের জন্য় সেঞ্চুরি মাঠে রেখে এসেছিলেন। এশিয়া কাপের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে হার্দিক ও রবীন্দ্র জাদেজার ( Ravindra Jadeja) সঙ্গে যুবরাজ সিংয়ের (Yuvraj Singh) তুলনা টেনেছিলেন দুই প্রাক্তন ক্রিকেটা। তর্ক বেধেঁ যায় সঞ্জয় মঞ্জরেকর (Sanjay Manjrekar) ও ওয়াকার ইউনিসের (Waqar Younis) মধ্যে।
আরও পড়ুন: IND vs PAK | Asia Cup 2023: সংরক্ষিত দিনেও বাধ সাধবে সেই বৃষ্টি! খেলা ধুয়ে গেলে সমীকরণ কী দাঁড়াবে?
মঞ্জরেকর বলেন, ‘হার্দিক এবং জাদেজা ব্য়াটে-বলে ছাপ রাখে। বিশেষত হার্দিকের কথা বলব, ও যেভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের ম্য়াচে ব্য়াট করেছিল। আমার মনে হয় ছয়ে ও সত্যিই বিধ্বংসী ব্য়াটার। যে কোনও দল ওকে দলে নিতে চাইবে। ওর আগ্রাসন দেখেছি। হার্দিক ভীষণ বুদ্ধিদীপ্ত ও স্মার্ট ক্রিকেটার। ও চ্যাম্পিয়নের মতো খেলেছে। ও নিজের সময় নিয়ে স্বাভাবিক ক্রিকেটটাই বার করে এনেছে। আমার মনে হয় হার্দিক-জাদেজা ছয় এবং সাত নম্বরে ভারতীয় দলকে একটা ধাক্কা দিতে পারে। এরা শেষ ১০ ওভার পেলে দ্রুত রান তাড়া করে ম্য়াচ বার করে আনতে পারে।’তবে মঞ্জরেকর হার্দিক-জাদেজার কথা মাথায় রেখেই বলেন, ‘দেখুন যুবরাজ সিং ভারতের সেরা সাদা বলের ক্রিকেটার। ও ম্য়াচ জেতাতে পারত অনায়াসে। অন্য লিগের প্লেয়ার ছিল যুবরাজ। হার্দিক-জাদেজাকে শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি ওরা কেউ যুবরাজের মতো। এরা দু’জন যুবরাজের থেকে অনেক ভালো বোলার।’ মঞ্জরেকরকে ওয়াকার থামিয়ে বলেন, ‘হার্দিক পাণ্ডিয়াও না? ও যেরকম ব্য়াটিং করেছে? আমি তুলনা করছি না। কিন্তু হার্দিকের মধ্যে সেই ব্যাপারটা আছে। শুনে মঞ্জরেকর বলেন, ‘হার্দিকের সেই সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোনও গ্য়ারান্টি নেই যে, ও ১০ ওভার বল করবে। মানে মেইনস্ট্রিম বোলারদের কাজটা করতে পারবে না। আমি হার্দিককে অনেক বেশি ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে দেখি। গত ম্য়াচে সত্যিই ভালো ব্য়াট করেছে। তবে ওই যে, আগেও বললাম, হার্দিক-জাদেজার দক্ষতার মিশেল রয়েছে। কিন্তু যুবরাজ অন্য মানের ছিল। জাদেজা যখন বল করে, তখন ওর জন্য় বোলিং সহায়ক পিচের ব্য়াপার থেকে যায়। ব্য়াটিংও সেভাবে। কিন্তু হার্দিক যেরকম ব্য়াটার, ওর কোনও বাজে বল বা লুজ বল লাগে না, ও যদি মনে করে চালাবে, তো চালাবেই।’ বোঝাই যাচ্ছে যে মঞ্জরেকরের কাছে জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী কিংবদন্তি অলরাউন্ডার সবার উপরে।