Group D Recruitment এর নাম করে নেওয়া হয় ২০ লাখ টাকা। রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে পরিচয়ের বাহানা দেখিয়ে পাতা হয় প্রতারণার ফাঁদ। নিজের সর্বস্ব খুইয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক যুবক। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি বলে দাবি। অবশেষে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নম্বরে ফোন করে ঘটনার তদন্তের জন্য সহযোগিতা পেলেন ওই যুবক।

Group D : স্বাস্থ্য দফতরে গ্রুপ ডি-র চাকরি পেতে খোয়া গেল ২০ লাখ টাকা
কী ঘটেছে?

রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করা হয় এক যুবকের সঙ্গে। লাখ লাখ টাকা প্রতারণা শিকার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল থানার চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জীব মাইতি। ফেসবুকে তৃণমূলের লোগো লাগানো সঞ্জয় পাণ্ডা নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক পেজে সরকারি গ্রুপ ডির বিঞ্জপন ছিল। সেই বিজ্ঞাপন দেখে ২০১৮ সালে কলকাতার দমদমের বাসিন্দা সঞ্জয় পন্ডার সঙ্গে পরিচয় হয় মহিষাদলের চন্ডীপুরের বাসিন্দা সঞ্জীব মাইতির।

Trending News : দাঁত নিয়ে জন্মাল শিশু! বিরল ঘটনা রাজ্যের হাসপাতালে, তাজ্জব চিকিৎসকরা
এরপর কী হল?

সঞ্জয়-এর সঙ্গে দমদমে দেখা করে সঞ্জীব। টাকার মাধ্যমে সরকারি চাকরি হয়ে যাবে এবং ৯ জন ঠিক করে দিলে তার চাকরিটা ফ্রিতে হবে, এমনটাই জানায় সঞ্জয়। সেই সঙ্গে তিনি রাজ্যের দুই প্রভাবশালীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে তার। সরকারি গ্রুপ ডিতে চাকরি হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। চাকরি পাওয়ার আশায় সঞ্জীব মাইতি ৯ জনকে ঠিক করে। তাদের যে ফর্ম ফিলাপ করতে দেওয়া হয়েছিল তাতে বিশ্ববাংলার লোগোও ছিল বলে দাবি। সঞ্জীব বলে বিশ্ববাংলা যেহেতু রাজ্য সরকারের লোগো তাই সবাই বিশ্বাস করেছিল।

Trinamool Congress Leader : ‘বন্ধু’-র ২০ লাখ টাকা প্রতারণা! TMC-র নামে ওয়ারেন্ট জারি আদালতের
নেওয়া হয় লাখ লাখ টাকা

সঞ্জীবকে সঞ্জয় ফ্লাটে ডেকে ফর্ম দেয়। নগদ এক লাখ টাকা করে নেয়। মোট দশজনের ফর্ম ফিলাপের পর আরো এক লাখ টাকা করে নেওয়া হয়। মোট ২০ লাখ টাকা দেয় সঞ্জীব। বিভিন্ন সরকারি অফিসে আশেপাশে গিয়ে ইন্টারভিউ হয়। কখনও সিড়ির তলায়, কখনও সিঁড়ির ওপরে টেবিল রেখেই ইন্টারভিউ চলত। নানা অজুহাতেই কেটে যায় কয়েকটা বছর। ২০২২ সাল থেকে সঞ্জীবের ফোন আর ধরতো না সঞ্জয়। যে নম্বর গুলো সঙ্গে যোগাযোগ হতো সেগুলো প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে।

কুকীর্তি ফাঁস! তালাবন্দি করে পুলিশ ডাকলেন স্থানীয়রা

সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে যোগাযোগ

উপায় না দেখে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে যোগাযোগ করে ওই প্রতারিত ব্যক্তি। এমনকি তিনি এক ডাকে অভিষেক এর নম্বরেও যোগাযোগ করেন। পাশাপাশি, সমস্ত বিষয়টি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে জানায় সঞ্জীব। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি পাঠিয়েছে ওই যুবক। মহিষাদল থানায় ওই সঞ্জয় পন্ডার নামে এফআইআর করেছিলেন সঞ্জীব মাইতি। অবশেষে থানা থেকে এফআইআর কপি দেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তাঁর অর্থ যাতে উদ্ধার করা যায়, সে ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version