Handloom Saree-র কারুকার্য বিশ্ববরেণ্য। পুজো আসলেই তাঁতিদের নাওয়া-খাওয়া ভুলতে হত। রেডিমেড টেক্সটাইলের রমরমায় ভাটা পড়েছে হস্তচালিত তাঁত শিল্পে। অর্থের সংস্থান কমেছে তাঁতিদের।

Handloom Saree : ‘নীলাম্বরী’র সৌন্দর্য্যে মোহিত সকলে, কালনার তাঁতশিল্পীর শাড়ির দাম উঠল দেড় লাখ টাকা
হস্তশিল্প তাঁতে ভাটা

পুজো আসলে হাত চালিত তাঁতে বোনা কাপড় তৈরির ঠক ঠক আওয়াজে ঘুম ভাঙতো গ্রামবাসীদের। বিশ্রামের সময় থাকতো না। কিন্তু বর্তমানে রেডিমেড টেক্সটাইলের দুনিয়ায় বাংলার তাঁত বিলুপ্তির পথে। এক সময় পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম তাঁতিপাড়া নামে পরিচিত ছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। রমরমিয়ে চলত তাঁতের কাপড় বোনা। কিন্তু এখন সব ইতিহাস। কদর কমেছে তাঁতে বোনা কাপড়ের। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে আজ ধ্বংসের মুখে প্রাচীন বাংলার এই কুটির শিল্প।

Bishnupur Baluchari Saree : বালুচরি থিমে সাজবে এলাকা, তাঁতিদের জন্য অভিনব উদ্যোগ বিষ্ণুপুরে
কী বলছেন তাঁত শিল্পীরা?

এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত পুরাতন মালদার সাহাপুরের অচিন্ত্য দাস, হারাধন দাস নিতাই দাসের মতো কারিগররা জানালেন, পুজো আসলেও তাঁদের মুখে হাসি নেই। আগে পুজো আসলে গোটা গ্রাম জুড়ে কয়েক মাস আগে থেকেই উৎসব শুরু হতো। হাত চালিত তাঁতে বোনা কাপড়ের ঠকঠক আওয়াজে ঘুম ভাঙতো গ্রামবাসীদের। কিন্তু আজ প্রাচীন বাংলার এই কুটির শিল্প বিলুপ্তির পথে। আগের মত তাঁতের কাপড় বোনার বায়না পাননা কারিগররা।

Hooghly News : দীপাবলীর আগে ‘দীপান্বিতা’ মেলা, হস্তশিল্পের প্রচার ও প্রসারে বিশেষ উদ্যোগ হুগলি জেলা প্রশাসনের
তাঁত শিল্পীদের অবস্থা

একটা সময় ছিল পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর এবং মঙ্গলবাড়ি অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার প্রায় দশ হাজার কারিগর এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যা হাতে গোনা খুব বেশি হলে দশ থেকে কুড়িটি পরিবার হবে। কারিগররা জানান, বর্তমানে শাড়ি বোনের বায়না তারা পান না। তবে জামা পাঞ্জাবির কাপড় বোনার কাজ বাধ্য হয়ে তারা করছেন। কারণ তারা অন্য কাজ করতে পারবেন না। এই কাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ১২ মিটার পাঞ্জাবি কিংবা জামার কাপড় বুনলে ৩০০ টাকা মজুরি পান। তাও আবার ১২ মিটার কাপড় বুনতে দু’দিন সময় লেগে যায়। তাই সরকারি সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কারিগররা।

‘সরকার বললে তো হবে না, রাজ্যে কাজ কোথায়?’

প্রশাসন কী বলছে?

মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ জানান, বাংলার তাঁত শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য রাজ্য সরকার একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন একাধিক প্রকল্প এবং ভাতা দিচ্ছেন কারিগরদের। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখে জেলার হাত চালিত তাঁতে বোনা কাপড় শিল্পীদের পাশে দাঁড়াবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন সভাধিপতি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version