এই সময়: রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মাঝেই এবার বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলিপুরের পাঁচতারা হোটেলে ইন্টার অ্যাকশন উইথ আকাদেমিক গ্রুপের (উচ্চশিক্ষা) অনুষ্ঠানে কলকাতা, বারাসত-সংস্কৃত, বিএড, উত্তরবঙ্গ এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য-রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিযুক্ত উপাচার্যদের দেখা যায়। তারপরই রাত সাড়ে আটটায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘মিঃ বন্ড (রাজ্যপাল-আচার্যর নাম না করে খোঁচা দিয়েছে) নিযুক্ত পাঁচ ‘ক্রীতদাস’ উপাচার্য কেন্দ্রের বিজেপি মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন আজ।

CV Ananda Bose : সংঘাত-বৃত্তে শিক্ষামহলও, ভিডিয়ো-বার্তায় প্রাক্তন ভিসিদের নিশানা বোসের
আদালত নিশ্চয়ই নজর রাখছে। বাংলার উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা হচ্ছে।’ যদিও সংশ্লিষ্ট উপাচার্যদের দাবি, তাঁরা শিক্ষাবিদ হিসাবে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েই এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন। আলোচনায় হাজির বাবাসাহেব বিআর আম্বেদকর (বিএড) বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নানা খাতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অর্থ বরাদ্দ কমতে কমতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব আয়ের উৎস খুঁজতে বলা হচ্ছে। আমাদের ভরসা বলতে রাজ্য সরকারের কোষাগারের টাকা। অথচ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পড়ুয়াদের থেকে ফি হিসাবে বিপুল অর্থ আদায় করছে। ওদের সঙ্গে আমরা প্রতিযোগীতায় টিঁকে থাকব, কী করে?

CV Ananda Bose : আচার্যের ভূমিকার প্রতিবাদ, রাজভবনের সামনে অবস্থান
ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় একই কোর্সে রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে পড়ছে! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ টেনে পাল্টা বলেন, ‘আমরা উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে হাজার কোটি টাকার তহবিল গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্য তার ভাগ দিতে না চাওয়ায় প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’

CV Ananda Bose : ‘মধ্যরাত অবধি অপেক্ষা করুন…’, ব্রাত্যকে ‘চ্যালেঞ্জ’ রাজ্যপালের!
সে সময়ে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সুশান্ত চক্রবর্তী জানতে চান, জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রফেসর অফ প্র্যাকটিস সংস্থানের কথা বলে হয়েছে, কিন্তু সেই নিয়োগে অর্থ সংস্থান মিলবে কোথ থেকে? সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য আবার রাজকুমার কোঠারি আবার শিক্ষায় কেন্দ্রের আরও বিনিয়োগের পক্ষে সওয়াল করেন। এঁরা ছাড়াও এদিনের বৈঠকে কলকাতা ও উত্তরবঙ্গর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত ও রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।

রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত নামগুলিতে কেন সম্মতি নয়? ব্যাখ্যা আচার্য বোসের
শিক্ষামন্ত্রীর টুইট থেকেই স্পষ্ট, ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে উপাচার্যদের দেখা করার বিষয়টি রাজ্য মোটেই ভাল চোখে দেখছেননা। গত সপ্তাহেই রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের বৈঠক ডেকেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। সে দিনের বৈঠকে কলকাতা, যাদবপুর, রবীন্দ্র ভারতী ও বর্ধমান সহ ১২ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার গরহাজিরা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version