সোমবার থেকে পান্ডুয়ার ১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মচারীরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন পান্ডুয়া বিডিও অফিসে।হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিডিওর ঘরের সামনে ধর্নায় বসেছেন তারা। কর্মীদের দাবি, তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। অভিযোগ, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ হরাল দাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মিটিং হলের চাবি না পেয়ে পঞ্চায়েত কর্মীদের অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। এরই বিচার চেয়ে পান্ডুয়ার সমস্ত পঞ্চায়েতের কর্মীরা বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন।
সোমবার অর্থাৎ গতকাল কর্মীদের আন্দোলনের জেরে সিমলাগড় ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতে দুয়ারে সরকার শিবির বাতিল হয়। আজও একইভাবে হরাল দাসপুরের দুয়ারে সরকার শিবির করতে পারেনি পান্ডুয়া ব্লক প্রশাসন।পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ পান্ডুয়া বিডিও অফিসে যান সদর মহকুমা শাসক সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আন্দোলনকারী পঞ্চায়েত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। পান্ডুয়া বিডিওর সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে যাবার সময় বলেন, ‘জেলাশাসক কে যা বলার বলব।’
পঞ্চায়েত কর্মচারী নিমাই রায় বলেন,’আমাদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে সেই কারণে আমরা দুদিন পেন ডাউন করেছিলাম। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে।জেলাশাসক আজকে সদর মহকুমা শাসককে পাঠিয়েছিলেন। আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছে মহকুমা শাসক বলেছেন এরপরে এই ধরনের কোন ঘটনা হলে আইনগত যা ব্যবস্থা সেটা নেওয়া হবে। আগামী কাল থেকে কাজে যোগ দেবেন কর্মীরা।
তৃণমূল হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন,’যেটা ঘটেছে সেটা দুঃখজনক ঘটনা। আমি নিজে সঞ্জয় ঘোষের সঙ্গে কথা বলেছি।কথা বলেছি প্রশাসনের সঙ্গেও।পঞ্চায়েতে যারা কর্মচারী আছেন, তারা মানুষকে পরিষেবা দিন। এখন দুয়ারে সরকার চলছে।বাকি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দলগতভাবে যা ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা আমরা নেব।’
পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার। ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হবে শিবির। প্রথম পর্বে ১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আবেদন নেওয়া হয় দুয়ারে সরকার শিবিরগুলিতে। ১৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করা হবে। মোট ৩৫টি পরিষেবা মিলছে এবারের শিবির থেকে। দুদিন এলাকাবাসী পরিষেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ।