কী জানালেন বিচারপতি?
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একটি মামলার রিপোর্ট দেখে বিস্ফোরক আদালত। তিনি জানান, একটা কথা না বলে পারছি না, সিবিআইএর এই মামলার তদন্ত দেখে আশাহত। বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে দফায় দফায় শুনানি চলল। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে সিবিআই তদন্তের এই নমুনা পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হল। শেষ পর্যন্ত সিটের প্রধানকে তলব করা হল। এরপরেও তদন্ত নিয়ে হতাশামূলক পর্যবেক্ষণ আদালতের।
আর কী জানালেন বিচারপতি?
বিচারপতি এদিন জানান, ডিজিটাইজ ডেটা-র নামে যা রাখা হচ্ছে সেটা এই তদন্তের রিপোর্ট মামলার সব পক্ষকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। তাতে সবাই জানুক কি তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্তের মাথায় থাকা আশ্বিন সেনভিকে ব্যাক্তিগত হাজিরার নির্দেশ দেন তিনি। তাঁর কথায়, তিনি এসে দেখুন তাঁর অফিসাররা কত আন্তরিকতার সঙ্গে তদন্ত করছেন। মাথা না লাগিয়ে কি কাজ করছেন সেটাও দেখে যান তিনি।
পুরনো প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ডেটা সেভ
এস বসু রায় কোম্পানি থেকে ডিজিটাল ডাটা যে ভাবে খুশি ব্যবহার করা যায় বলে মামলাকারীদের বক্তব্য। কোর্ট সেসব জানার পর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে। হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার এবং আইটির সঙ্গে কথা বলে কোর্ট। ওই ডেটা টেক্সট ফাইল সেভ করা খুব বিপজ্জনক। বসু রায় কোম্পানি যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেটা অন্তত ৩০ বছরের পুরনো বলে দাবি করা হয়।
একাধিক প্রভাবশালীর নাম?
সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই নতুন রিপোর্ট জমা করে। সেই রিপোর্ট দেখে বিস্মিত হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নতুন রিপোর্টে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানান, সন্দেহভাজনের তালিকায় আরও বিধায়ক ও কাউন্সিলর নাম রয়েছে বলে খবর। প্রত্যেকেই যথেষ্ট প্রভাবশালী এবং জন প্রতিনিধি, বিধায়ক, কর্পোরেটর বলে জানায় এমনটাই আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। এদের কবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে সেটা জানতে চান বিচারপতি। সিবিআই কেন এখনও এঁদের জিজিসবাদ করা হচ্ছে না সে ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।