মন্দারমণিতে তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্যের জট এখনও ছাড়ানো যায়নি। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতবাবে খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে ঠিক কী ভাবে ও কী কারণে তরুণী ওই মন্দারমণিতে পৌঁছলেন তা নিয়ে এখনও রয়েছে ধোঁয়াশা।

পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মন্দারমণি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে খবর। সেক্ষেত্রে এই ঘটনার সঙ্গেও কি যৌন ব্যবসার কোনও ধরণের যোগ রয়েছে? উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্নও। যদিও মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মন্দারমণি থানার তরফে এই বিষয়ে নতুন কোনও আপডেট পাওয়া যায়নি

Mandarmani News : মন্দারমণির সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া দুই যুবকের দেহ উদ্ধার, ২ দিন পর ভেসে উঠল তাজপুরে
এদিকে এই ঘটনায় মৃতার লাবনী দাসের বাবা বলাই দাসের দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তবে কারা-কেন খুন করেছে সেই বিষয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই বলে দাবি বলাইবাবুর। ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তেরদাবি জানিয়েছেন বলাইবাবু। তিনি আরও জানান, লাবনী সোদপুরে কোন বিউটি পার্লারে কাজ করতেন, সেটা তাঁর বা পরিবারের কারও জানা নেই। এমনকী সেই বিউটি পার্লালের কাউকেই তাঁরা চেনেন না। বলাইবাবুর কথায়, তাঁর মেয়ে শুধু জানিয়েছিলেন সোদপুরে কাজ করেন। মেয়ের কারও সঙ্গে কোনও প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল কি না, সেই বিষয়েও কিছু বলতে পারেননি বলাইবাবু।

মৃতার পরিবার সূত্রের খবর, সোদপুরের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন লাবনী দাস। যদিও সেই পার্লার ঠিক কোথায়, তা পরিবারের কারও জানা নেই। এই প্রসঙ্গে মৃতার এক দাদা দিলীপ পাল জানান, ব্যারাকপুরে দিদির বাড়ি থেকে তাঁর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল লাবনীর, কিন্তু তিনি যাননি। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো নিজের নদিয়ার বাড়িতেই চলে গিয়েছেন লাবনী। কিন্তু তারপর থেকেই লাবনীর ফোন সুইচড অফ ছিল।

Mandarmani News : ব্যারাকপুরে দিদির বাড়ি যাবে বলে মন্দারমণিতে! মৃত যুবতীর পরিচয় পেল পুলিশ
তবে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা মন্দারমণিজুড়ে। আতঙ্ক ছড়ায় পর্যটকদের মধ্যেও। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, সি মেরিন ড্রাইভ এলাকায় রাস্তা শুনশান থাকার কারণে এবং রাস্তার পাশে পর্যাপ্ত আলো না থাকার জেরে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। তাই স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে ওই এলাকায় বাড়ানো হোক আলো। পাশাপাশি পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করারও দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে পুজোর আগে এই ধরণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন মন্দারমণির বেশিরভাগ হোটেল ব্যবসায়ী। আগামী মরশুমে পর্যটনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version