শুল্ক দফতর কী জানাচ্ছে?
পেট্রাপোল বন্দরের শুল্ক দফতরের ক্লিয়ারিং সেক্রেটারি কার্তিক চক্রবর্তী জানান, আজ বুধবার রাতেই প্রথম লটের বাংলাদেশের ইলিশ ঢুকছে। ৪০ টন ইলিশ আজকে ঢোকার কথা রয়েছে। মোট ৩৭০০ থেকে ৩৮০০ টন ইলিশ ঢোকার পারমিশন হয়েছে। আমাদের দেশের সাত থেকে আটজন মোট আমদানকারি ইলিশ আনার অনুমতি পেয়েছেন।
বাংলাদেশের ইলিশের আগমণ
রাজ্যের পদ্মার ইলিশ কবে ঢুকবে সেই নিয়ে কিছু জটিলতা তৈরি হয়। এগ্রিমেন্ট ও ট্রেড লাইসেন্স জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে আশার বাণী। বুধবার রাতেই কলকাতার উদ্দেশে পদ্মার ইলিশের রওনা দেওয়ার সম্ভাবনা। প্রায় ৫ হাজার টন পদ্মার ইলিশ আসছে বলে জানা গিয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে?
জানা যাচ্ছে, ২১ থেকে ২৫টি কনসাইনমেন্টে বাংলার প্রায় ৭০ জন আমদানকারির হাত ধরে বাংলাদেশের ইলিশ আসতে চলছে। এগ্রিমেন্ট সংক্রান্ত সমস্ত জটিলতা কেটে গিয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এপার বাংলায় ইলিশ আসার সম্ভাবনায় কোনও সিলমোহর পড়েনি। অবশেষে বুধবার এল সেই সুখবর।
পুজোয় জমজমাট খানাপিনা
বাঙালি পাতে ইলিশ পেলে আর কি চাই! তাও আবার সেটা যদি হয় ওপার বাংলার পদ্মার ইলিশ। পুজোর আগেই সেই ইলিশ আসছে রাজ্যে। ভাইফোঁটা পর্যন্ত বাংলাদেশের ইলিশ আসার কনসাইনমেন্ট এসেছে। জুলাই থেকেই বাংলাদেশের ইলিশ আনার ব্যাপারে প্রচেষ্টা শুরু হয়। গত বছর মাত্র ৩৫০০ হাজার ইলিশ আসার ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছিল। যদিও শেষমেশ মাত্র ৩০০০ হাজার টন ইলিশ আনা সম্ভব হয়েছিল। এ বছর সেই সংখ্যাটা অনেকটাই বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের ইলিশ
বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা এ রাজ্যেই সবথেকে বেশি। যদিও ইলিশ রফতানিতে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সেই কারণে এবার অনেক আগে থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ওপরের ইলিশ আনার প্রচেষ্টায় ছিলেন। ২০২১ সালে ৪৫০০ টন ইলিশ আনার ছাড়পত্র দেয় বাংলাদেশ সরকার। সেবার মাত্র ১২০০ টন ইলিশ আনা সম্ভব হয়। এ বছর সব রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
পুজোয় ইলিশ
দুর্গোৎসব বাঙালিদের কাছে খানা-পিনার সর্বোৎকৃষ্ট মহরত। রেস্তোরাঁ হোক বা বাড়িতে অষ্টমী বা নবমীর দুপুরে সর্ষে ইলিশ, ইলিশ ভাপা বা ইলিশ পাতুরি, ইলিশ বিরিয়ানি দিয়ে লাঞ্চ না করলে পুজোর আনন্দ অনেকটাই মাটি হয়ে যায়। স্বাদে গন্ধে পদ্মার ইলিশের জুড়ি মেলা ভার। এবার বাংলাদেশের ইলিশ আসার কারণে পুজোয় ইলিশ রসনায় তৃপ্ত হবে বঙ্গ সমাজ এ কথা বলাই বাহুল্য।