ডালখোলায় পাথর বোঝাই ট্রাক থেকে তোলা তোলার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। দু’টি ট্রাক বেআইনিভাবে চাওয়া এই টাকা দিতে না চাওয়ায়, তাদের আটকে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আবার কিছু ট্রাকচালক বাধ্য হয়ে টাকা দেন। কিন্তু তাঁদের যে চালান দেওয়া হয়েছে তাও জাল বলে অভিযোগ। আর পুলিশের সেই টাকা তোলার ছবিই রেকর্ড করা হয় মোবাইলে। সোমবার এজলাসে সেই রেকর্ডিং দেখেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

ছবি দেখে বিচারপতি বলেন, ‘এটা কী হচ্ছে? একটা থানায় এত টাকা, তিনটে থানা এত টাকা…এটা কি ভেটিং প্লেস? পুলিশ ঠিক করে দিচ্ছে! আশ্চর্য…।’ মামলাকারীর তরফে বলা হয়, ‘একটা থানা সাড়ে ৪ হাজার টাকা চাইছে।’ সেই কথা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘সরকার ওই অফিসারের নাম দেবে। আমি দিচ্ছি না। রেকর্ডিং থেকে সব দেখা গিয়েছে, শোনাও গিয়েছে।’

Justice Abhijit Ganguly : আলিপুরদুয়ারে মহিলা সমবায় সমিতিতে বড় দুর্নীতি, CBI-কে ‘পদক্ষেপ’-এর নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
বিচারপতি নির্দেশ দেন, ‘পুলিশ রেট ঠিক করে দিচ্ছে কত টাকা দিতে হবে! ভিডিও ফুটেজ দেখে এটা স্পষ্ট, এটা অতি গুরুতর অভিযোগ। এর ফরেন্সিক পরীক্ষা করতে হবে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে এই মামলা সিআইডি-কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল। নতুন FIR করে তদন্ত করতে হবে CID-কে।’ এছাড়া জাল চালান দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই চালানও পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠান হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ নভেম্বর। সেই শুনানিতেই রেকর্ডিং সম্পর্কে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Murshidabad News : ​এসপিকে তদন্তভারের পরেও এলাকায় চমকাচ্ছেন এসআই, জঙ্গিপুরে খুনে অভিযুক্তকে আড়ালের চেষ্টা
প্রসঙ্গত, পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ এই প্রথম নয়, এর আগেও উঠেছে এই ধরণের অভিযোগ। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গত বছর সাসপেন্ড করা হয় খড়দা থানার দুই পুলিশ কর্মীকে। জানা যায়, সোদপুর বি টি রোডে চেকিংয়ের সময় দুধের গাড়ি আটকে কাগজপত্র দেখতে চান খড়দা থানার সাব ইন্সপেক্টর সুজয় সরকার ও কনস্টেবল তাপস দাস। অভিযোগ, চালকের কাগজপত্রে বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও ওই দুই পুলিশ আধিকারিক কেস ফাইল না করে, টাকার বিনিময়ে বিষয়টি রফা করেন।

Calcutta High Court Jalpaiguri Circuit Bench : সমবায় দুর্নীতিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে
এরপর ওই গাড়ির মালিকই খড়দা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে গোটা বিষয়টি জানান। যার জেরে গাড়ির মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর সুজয় সরকার ও কনস্টেবল তাপস দাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট৷ এরপরেই ওই সাব ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version