রাজ্যের একের পর প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে চলেছে। কখনও বায়োমেট্রিক ক্লোন করে, কখনও বা ক্রেডিট কার্ডের নামে প্রতারণার শিকার হয়েছেন রাজ্যের বাসিন্দারা। এবার অভিনব প্রতারণার ফাঁদে বালিগঞ্জের এক বাসিন্দা। সিঙ্গাপুর নিবাসী এক ‘আত্মীয়’-এর থেকে ফোন পান ওই ব্যক্তি। ফোনে ভারতে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়। বিপদের কথা শুনে ‘আত্মীয়’-র বলে দেওয়া দুটি অ্যাকাউন্টে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাঠান বালিগঞ্জ মেফেয়ার রোডের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ। টাকা পাঠানোর আগে একবারও তিনি যাচাই করেননি তাঁর কাছে আসা ফোন আদৌ তাঁর ‘আত্মীয়’-এর কিনা। তাই প্রতারিত হওয়ার আগেই তিনি বুঝেই উঠতে পারেননি।

Credit Card Fraud : আধারের পর বিপদের নাম ক্রেডিট কার্ড! প্রতারকদের থাবা রাজ্যে, টাকা গায়েব পার্বতীর
পুলিশ দাবি, বালিগঞ্জ নিবাসী ওই বৃদ্ধকে ভিডিয়ো কল করা হয়েছিল। প্রতারকদের সঙ্গে ওই প্রৌঢ়ের আত্মীয়ের চেহারাগত অনেক সাদৃশ্য ছিল। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই এই কাজ করা হয়েছিল বলে দাবি প্রতারকদের। দীর্ঘদিন ধরে দেখা না হওয়ার কারণে প্রতারিত ব্যক্তিও বুঝে উঠতে পারেননি। সাইবার প্রতারকের দেওয়া অ্যাকাউন্ট নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর তিনি বুঝতে পারেন যে আদতে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।

Bank Fraud Case : ব্যাঙ্ক লোনের নামেও টাকা গায়েব! বড় প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস, ধৃত ১০
প্রতারণার শিকার হয়েছে বুঝে ওঠার পরই তিনি স্থানীয় থানায় ছুটে যান। প্রতারিত বৃদ্ধ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি, কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয় দেখা হয়েছে। অভিযোগকারী বৃদ্ধ পুলিশকে জানিয়েছেন, ছোটোবেলা থেকে তিনি তাঁর আত্মীয়কে চেনেন। এই ঘটনায় কড়েয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মনে করছে প্রযুক্তির সাহায্যে ছদ্মবেশে ওই ব্যক্তিকে প্রতারিত করা হয়েছে।

Swanirvar Gosthi : লাখ লাখ টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিবাদে তুমুল উত্তেজনা বারুইপুরে
কড়েয়া থানার এক পুলিশ আধিকারিক এ প্রসঙ্গে একটি ইংরেজি দৈনিককে বলেন, ‘ছদ্মবেশে প্রতারণার ঘটনার অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতারকরা সাধারণ ফোন কল বা হোয়াটসঅ্যাম মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। কিন্তু ভিডিয়ো কল করে প্রতারণার ঘটনা বিরল। যেখানে তাঁর আত্মীয়ের সঙ্গে সাদৃশ্য থাকা কেউ ফোন করে প্রতারণা করেছে। ২২ সেপ্টম্বর অরবিন্দ আগরওয়ালের নামে প্রথম প্রতারিত ব্যক্তির কাছে WhatsApp মেসেজ আসে। এই নামে অভিযোগকারী এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় রয়েছেন। প্রতারক জানায় সে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। তার শ্যালিকার চিকিৎসার জরুরি ভিত্তিতে বেশ কিছু টাকা প্রয়োজন। তখন প্রতারকের দেওয়া অ্যাকাউন্ট নম্বরে কয়েক দফায় প্রায় আড়াই লাখ টাকা পাঠানো হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর প্রতারিত ও তাঁর পরিবার কোনওভাবে প্রকৃত অরবিন্দ আগরওয়ালের ফোন নম্বর জোগাড় করতে সক্ষম হন। যোগাযোগ করতেই জানা যায় প্রকৃত অরবিন্দ সিঙ্গাপুরে নেই। এরপরই ওই পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়।’ পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত চলছে।

ফলো করুন এই সময় ডিজিটালের WhatsApp চ্যানেল। লিঙ্ক : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version