কামদুনি কাণ্ডের রায় বেরোনোর পরেই তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যে। রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার পরিবার, পরিজনরা। এবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে আইনি পরামর্শ নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।

Kamduni Case Verdict : ‘শয়তানগুলো বেঁচে গেল!’ রায় শুনে হাহাকার মৌসুমী-টুম্পার, অসুস্থ নির্যাতিতার ভাইও
কামদুনি কাণ্ডে রায়

শুক্রবার কামদুনি কাণ্ডে রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ রায় জানান। তাতে জানানো হয়, ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সইফুল আলি এবং আনসার আলির সাজা লঘু করা হচ্ছে। আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করা হচ্ছে তাদের। এমনকি নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করকেও খালাস করে দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু তারা ১০ বছর জেল খেটে ফেলেছেন, সেই জন্যে তাদের খালাস করে দেওয়া হয় হচ্ছে বলে জানানো হয়।

Kamduni Case : ফাঁসি রদ করে খালাস, কামদুনি কাণ্ডের মতো মুক্তি পান নীরাও
প্রতিবাদ শুরু

এই রায় শোনার পরেই প্রতিবাদ শুরু হয়। নির্যাতিতার ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। কামদুনি কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ করা স্থানীয় মহিলা মৌসুমী, টুম্পারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁরা এই রায় খুশি নয় বলে জানিয়ে দেন। কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। একজন নির্যাতিতা মহিলার মৃত্যুর পরেও দোষীদের বিরুদ্ধে এরকম রায় নিয়ে শুরু হয় চর্চা।

কামদুনিকাণ্ডে ফাঁসির সাজা রদ!

কামদুনি কাণ্ড

কামদুনির ঘটনাটি ঘটে ২০১৩ সালের ৭ জুন। উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে কলেজ থেকে ফেরার পথে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ করা হয়। ধর্ষণ করার পর তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। শুরু হয় রাজনৈতিক মতবিরোধ, আলোচনা। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের চূড়ান্ত সাজার দাবিতে পথে নেমে আন্দোলন শুরু করে কামদুনি গ্রামের মানুষজন। মৌসুমী, টুম্পা সহ একাধিক গ্রামের মহিলারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কামদুনি কাণ্ডের রায় শোনায় কলকাতা হাইকোর্ট।

সব খবর সঠিক সময়ে পেতে এই সময় ডিজিটাল হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version