রাস্তা ফেরত চেয়ে আগেই চিঠি দিয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবার হেরিটেজ সাইটের অন্তর্গত এলাকায় টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং খাবারের দোকান সরিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ নিল বিশ্বভারতী। হেরিটেজ সাইটে টোটোর দৌরাত্ম্য বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

Visva Bharati University : বিশ্বভারতীকে রাস্তা ফেরত দেবেন না! মমতাকে চিঠি লিখে উপাচার্যের আবেদনের বিরোধিতা
কী ঘটনা ঘটেছে?

ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা হওয়ার পর শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা সহ বিভিন্ন ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানের সামনে থেকে টোটো ও বিভিন্ন খাবারের দোকানগুলিকে সরিয়ে দেওয়া হল বিশ্বভারতীর তরফে। শনিবার বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষীরা টোটো গুলিকে ছাতিমতলা ও উপাসনা গৃহসংলগ্ন স্থান থেকে সরিয়ে দেয়। তার সঙ্গেই শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহের সামনে থেকে সংগীত ভবন পর্যন্ত পর্যটকদের নিয়ে টোটো যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে।

Visva Bharati University : মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি উপাচার্যের, রাস্তা ফেরত চাইল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়
যে রাস্তাটি ফেরত চাওয়া হয়েছে সেটি দীর্ঘ সাড়ে তিন কিমি। আশ্রম প্রাঙ্গণ থেকে কালিসায়ের পর্যন্ত। এর মধ্যে ৫০০ মিটার হেরিটেজ এর অধীনে পড়ছে বলে বিশ্বভারতী সূত্রে খবর। যার মধ্যে আশ্রম প্রাঙ্গণ, পথ ভবন, কাঁচ মন্দির, রবীন্দ্র ভবন, কলা ভবন, সঙ্গীত ভবন রয়েছে। এই ৫০০ মিটারে কড়াকড়ি শুরু হচ্ছে। আশ্রমিকরা যদিও, টোটো সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোনও বিরোধিতা করেননি। তবে আগামী দিনে বিশ্বভারতী পুরো রাস্তাটি নিজেদের অধীনে আনার চেষ্টা করবেন বলেই আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

Visva Bharati University Student Kidnapped Case : ভিসা নিয়ে পড়তে এসে কী ভাবে ব্যবসা, তদন্ত
পর্যটকরা কী বলছেন?

অন্যদিকে, শান্তিনিকেতনে ঘুরতে আসা পর্যটকদের একাংশ এই পদক্ষেপকে সঠিক বলেই বর্ণনা করেছেন। তাঁদের কথায়, বিশ্বভারতী ভিতরে হেরিটেজ স্থানগুলোর জায়গায় টোটো দৌরাত্ম্য বাড়লে তাঁদের অসুবিধায় পড়তে হতো। সেই কারণে এই পদক্ষেপ প্রসংশনীয়। শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। মূলত টোটো ও ভারী যান চলাচল বন্ধ করেছে।

দারিদ্র্য জয় করে কয়েক কোটির সম্পত্তি বিশ্বভারতীকে!

রাস্তা চেয়ে রাজ্যক চিঠি

উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহের সামনে থেকে কালিসায়ের অবধি তিন কিমি রাস্তা রাজ্য সরকারের থেকে আবেদন করে নিজেদের দায়িত্বে নিয়েছিল বিশ্বভারতী। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিষয়ের সংঘাত হওয়ার পর এই রাস্তার দায়ভার ফের নিজেদের হাতে নেয় রাজ্য সরকার। তারপর থেকেই শান্তিনিকেতনের এই সমস্ত ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানগুলি সামনে টোটো ও বিভিন্ন খাবারের দোকান দাঁড়িয়ে থাকত। শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা হওয়ার পর রাস্তা ফেরত চেয়ে ফের আবেদন জানানো হয় বিশ্বভারতীর তরফে। যদিও এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। অন্যদিকে, টোটো চালকরা দাবি করেছেন তারা এই রাস্তাটি ব্যবহার করতে চান। শুধুমাত্র যাতায়াত করতে দিলেই হবে তারা টোটো রাস্তায় দাঁড় করাবেন না।

সব খবর জানতে ও নিয়মিত আপডেট পেতে জয়েন করুন এই সময় ডিজিটাল হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version