প্রদ্যুত্ দাস: সাতসকালে হইচই। রেললাইনের ধারে পড়ে রয়েছে এক কিশোর ও এক কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ি-ফালকাটা রোডে ধুপগুড়ি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায় পড়ে ছিল ওই দুজনের দেহ। এনিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। পুলিস ও দমকল এসে দুজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ঘটনার জেরে দাঁড়িয়ে পড়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রস। ঘটনার তদন্তে নেমে অবাক পুলিস।
আরও পড়ুন- দক্ষিণেশ্বরে মদন মিত্রের ফ্ল্যাটে তল্লাশি, লাগোয়া অফিসেরও তালা খুলল সিবিআই
ওই কিশোর ও কিশোরীর ঠিকানা জানতে গিয়ে পুলিস জানতে পারে দুজনের বাড়ি অসমে। ধুপগুড়ি জিআরপির সাব ইন্সপেক্টর উত্তম কুমার রায় বলেন, দুজনেই ট্রেন ধরে ধুপগুড়িতে এসে পৌঁছায়। আহতরা দুজনেই অসমের রঙ্গিয়া এলাকার বাসিন্দা। দুজনেই আসাম থেকে ট্রেনে চেপে ধুপগুড়ি স্টেশনে নামে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। রবিবার সকালে দুজনেই ধুপগুড়ি বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায় রেললাইনে শুয়ে পড়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। তখনই একটি মালগাড়ির সামনে পড়ে য়ায় দুজন। গুরুতর আহত দুজন।
গুরুতর আহত ওই কিশোর ও কিশোরীর বাড়ি রঙ্গিয়া। দুজনের নাম অমিত মিত্র এবং তিথি বর্মন। দুজনেই নাবালক। বয়স ১৬ এর। মালগাড়ির ধাক্কায় দুজনেই গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকেই জলপাইগুড়ি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। ঘটনার জেরে কোচবিহার গামী বন্দে ভারতের মতন গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনকে মিনিট খানেক দাঁড় করানো হয় ধূপগুড়ি স্টেশনে। রেল পুরো বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)