সময়সীমা ২ সপ্তাহ
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর বৈঠক নিয়ে সন্তুষ্ট তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘রাজ্যপাল আমাকে কথা দিয়েছেন তিনি ২ সপ্তাহ নয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলবেন। রাজভবন সূত্রে জেনেছি ইতিমধ্যেই দিল্লি রওনা হয়েছেন সিভি আনন্দ বোস।’ অভিষেক জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলার ও সমাধানের জন্য সময়সীমা ২ সপ্তাহ। ৯ থেকে ৩১ অক্টোবর অবধি বাংলার মানুষের বকেয়া সমস্যার সমাধানের জন্য অপেক্ষা করবেন তিনি। এই সময়সীমার মধ্যে কাজ না হলে ১ নভেম্বর থেকে ফের তৃণমূল সুপ্রিমোর নেতৃত্বে রাস্তায় নামবে তৃণমূল। তিনি বলেন, এদিন বঞ্চিতরা রাজ্যপালের কাছে জানতে চান কাজ করেও তারা টাকা পাননি। কোন আইনে তাদের টাকা আটকে রাখা হয়েছে? রাজ্যপালের কাছে কোনও উত্তর ছিল না।
ধরনা জারি রাখার ইচ্ছা
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর মঞ্চে এসে অনুগামী ও কর্মী সমর্থকদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন,’গত পাঁচ দিন আমার মনে সারাজীবনের জন্য স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। অনেক ঝড়, জল-ঝাপটা সত্ত্বেও আমার মঞ্চে দুপাশে কখনও ফাঁকা দেখিনি।’ একইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে জানান, তিনি আরও ২৪ ঘণ্টা এই ধরনা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। এই বিষয়ে দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে সঙ্গে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও আলোচনা হয় তাঁর। প্রত্যেকেই বলেন, যেহেতু রাজ্যপাল সৌজন্য দেখিয়েছেন, তাই রাজ্যের শাসক শিবিরেরও পাল্টা সৌজন্য দেখানো উচিত। সেই মতোই পরামর্শ মেনে ধরনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। একইসঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে দেন ২১ লাখ মানুষের বকেয়া উসুল করতে তারা কিন্ত আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরছে না।
রাজ্য রাজনীতির যেকোনও খবরের জন্য ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেল। ক্লিক করুন- https://bit.ly/eisamay-whatsapp-channel