মঙ্গলবার বিকেলে আচমকা সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রটে অমর্ত্য সেন আর নেই। অর্থনীতিতে চলতি বছরের নোবেলজয়ী ক্লডিয়া গল্ডিনের নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে পোস্ট করা হয় । নোবেলজয়ী ক্লডিয়া গল্ডিন অর্থনীতির অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের ছাত্রী । স্বভাবতই তাঁর নামের এই টুইটে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে আরও একাধিক জন এক্স হ্যান্ডেলে খবরটি করেন। কিন্তু, খানিকক্ষণের মধ্যেই জানা যায় ওই অ্যাকাউন্টটি ভুয়ো। এই বিষয়টি নিয়ে অমর্ত্য কন্যা নন্দনা দেব সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নোবেলজয়ী সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।
টুইটে নন্দনা লেখেন, ‘শুভান্যুধায়ীদের বলছি, আপনাদের উদ্বেগের কারণ নেই। বাবা একদম সুস্থ আছেন। এই তো কেমব্রিজে আমরা একসঙ্গে উইকএন্ডে দারুণ সময় কাটালাম। বিদায় নেওয়ার সময় এখনও তাঁর আলিঙ্গন স্নেহ সম্ভাষণ বরাবরেই মতোই জোরালো ছিল। বাবা নিয়ম করে এখনও সপ্তাহে দুই দিন হার্ভাডে নিয়ম করে ক্লাস করেন। একইসঙ্গে জোরকদমে চলছে বইয়ের কাজও।’
মাস খানেক আগেই শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক অমর্ত্য সেন। শান্তিনিকেতনে তাঁর বাড়ি ‘প্রতীচী’-তেই ছিলেন তিনি। ১৯৩৩ সালে ৩ নভেম্বর শান্তিনিকেতনে জন্ম অমর্ত্য সেনের। চলতি বছর ৮৯-এ পা দিয়েছেন তিনি। তাঁর নাম রেখেছিলেন স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান অর্থনীতির অধ্যাপক। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে নোবেল পুরস্কার পান অমর্ত্য সেন।
এদিন বিকেলে অমর্ত্য সেনের মৃত্যুর ভুয়ো খবর একাধিক এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট হলেও খটকা জাগে, সরকারিভাবে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু ঘোষণা না করায়। অমর্ত্য কন্যা নন্দনা ছাড়াও শান্তিনিকেতনের প্রতীচী ট্রাস্টের তরফ থেকেও এই মৃত্যুর খবর ভুয়ো বলে জানানো হয়। মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিব্রত হন নন্দনাও। ভুল ভাঙাতেই বিবৃতি জারি তাঁর।
দিনের কাজের ফাঁকে গুরুত্বপূর্ণ খবর যাতে মিস না হয়ে যায় তার জন্য ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল-এর হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেল। ক্লিক করুন- https://bit.ly/eisamay-whatsapp-channel