বুধবার রাতে বিহারের বক্সার জেলায় ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়া যাত্রীরা বৃহস্পতিবার বিকালে শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশনে নামেন। দুর্ঘটনা কারণে ট্রেনে থাকা অনেক যাত্রীই কম বেশি আহত হয়েছেন। এদিন স্টেশনে নামা অনেক যাত্রীর হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত ছিল।
নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেসে দার্জিলিংসহ পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা ছিলেন। কর্মসূত্রে তাঁদের অনেকেই দিল্লিতে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ আবার চাকরির সুবাদে দিল্লির স্থায়ী বাসিন্দা, পুজোর ছুটিটে বাড়ি ফিরছিলেন। বুধবার দিল্লি-কামাখ্যা নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেসে তাঁরা ফিরছিলেন। কিন্তু বক্সারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেন। এদিন এনজেপি স্টেশনে যাত্রীদের জন্য জল, খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়।
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামা এক যাত্রী বলেন, ‘দুর্ঘটনার সময় অধিকাংশ যাত্রীই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। সেসময় ট্রেনে হঠাৎ ঝাঁকুনি হয়। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে উলটে যায় ট্রেন। উলটে যাওয়া বগিগুলিতে অনেক যাত্রী ছিলেন। আমরা খুব ভয় পেয়েছি। আমার পায়ে চোট লেগেছে।’
প্রিয়া প্রধান আরও এক যাত্রী বলেন, ‘কর্মসূত্রে ছেলের সঙ্গে দিল্লিতে থাকি। সেখান থেকে ফিরছিলাম। দুইজন ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ ট্রেন উলটে যায়। কোনওমতে ট্রেন থেকে বাইরে বেরিয়ে আসি। ব্যাগপত্তর সব হারিয়ে গিয়েছে। এরপর হয়তো ট্রেনে উঠতে ভয় লাগবে।’
এনএফ রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম সঞ্জয় চিলওয়ার বলেন, ‘যাত্রীদের জন্য স্টেশনে সমস্ত বন্দোবস্ত ছিল। আগে থেকেই জল, খাবার রাখা হয়েছিল। চিকিৎসার ব্যবস্থাও ছিল। অনেকেই এখানে চিকিৎসকদের দেখিয়েছেন।’
ওডিশার বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিলের সাক্ষী ছিল গোটা দেশ। মৃত্যু হয়েছিল অনেকের। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চিরতরে চলনশক্তি হারান অনেকে। সেই ঘটনার কয়েকমাস কাটতে না কাটতেই ফের বিহারের বক্সারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেন। এই ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও অবধি চারজনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকেই আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।