কামদুনি কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিজনদের পাশে দাঁড়ালেন নির্ভয়ার মা। লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা জোগালেন মৌসুমী-টুম্পাকে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নির্ভয়ার মা দেখা করেন মৌসুমী-টুম্পাদের সঙ্গে। বিচারের আশায় কামদুনির নির্যাতিতার পরিজনদের প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানান নির্ভয়ার মা।

Kamduni Case : ফাঁসি রদ করে খালাস, কামদুনি কাণ্ডের মতো মুক্তি পান নীরাও
কী জানা যাচ্ছে?

বুধবার সকালেই রাজধানীতে পৌঁছন টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়ালরা। সঙ্গে ছিলেন শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায়, নির্যাতিতার দুই ভাই সহ আরও ৯ জন। এরপর বৃহস্পতিবার তাঁরা দিল্লির যন্তরমন্তরে ধরনায় বসেন। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন নির্ভয়ার মা। সবাইকে কামদুনি কাণ্ড নিয়ে লড়াইয়ের সাহস জুগিয়েছেন নির্ভয়ার মা।

কী জানালেন নির্ভয়ার মা?

নির্ভয়ার মা জানান, এঁরা দশ বছর ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজ্যের থেকে এঁরা সুবিচার পাননি। এবার ওঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আমি এঁদের লড়াই চালিয়ে যেতে বলব। কেন্দ্রের সরকার এবং জাতীয় মহিলা কমিশনকে অনুরোধ করবো, যাতে এঁদের সাহায্য করা হয়। এঁরা সঠিক বিচার পাবে, আমার বিশ্বাস আছে।

Kamduni Incident : ‘দোষীরা যদি কামদুনিতে ফেরে…’, প্রতিবাদী মৌসুমীর ‘ইঙ্গিত’ ঘিরে তোলপাড়
কী জানালেন মৌসুমী টুম্পারা?

কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম মুখ টুম্পা জানান, ‘ওঁর মেয়েকে হারিয়ে উনি দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন। ওঁর যথেষ্ট সাহস আছে। ওঁর কাছ থেকেই আমরা আজ নতুন করে লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা পেলাম। উনি আমাদের লড়াই শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।’ কেন্দ্রীয় সরকার যাতে আমাদের সুবিচার দিতে সহায়তা করে সেই আশাতে আমরা দিল্লিতে এসেছি।

জাতীয় মহিলা কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ

বৃহস্পতিবার জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করেন কামদুনির নির্যাতিতার পরিজনরা। কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা সকলের কথা শোনেন। কামদুনি গ্রামে মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল আসার ব্যাপারে আশ্বাস দেন তিনি। পুজোর পরেই তাঁদের প্রতিনিধি দল গ্রামে আসবে, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানানো হয়েছে।

‘এরাজ্যে বিচার পাইনি’, দিল্লি গেলেন কামদুনির মৌসুমি-টুম্পা

দুই নির্যাতিতার পরিজন একসঙ্গে

২০১২ সালে দিল্লিতে ভয়াবহ নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বিচার পান নির্ভয়ার মা। তার ঠিক এক বছর পর উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনি গ্রামে এক কুড়ি বছরের তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে। কিছুদিন আগেই কামদুনি মামলায় মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত একজনকে বেকসুর খালাস ও বাকি ২ সাজাপ্রাপ্তের মৃত্যুদণ্ড রদ করে, আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। দুই নক্কারজনক ঘটনার পরিজনরা আজ একসঙ্গে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন।

এই সময় ডিজিটালের হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক করুন এখানে



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version