এই সময়, শিলিগুড়ি: দুর্যোগ যেন সিকিম আর কালিম্পংয়ের ঘাড় থেকে নামতেই চাইছে না। ৪ অক্টোবরের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের রেশ এখনও কাটেনি। মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন। তারই মধ্যে বুধবার ফের তিস্তা নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল মেল্লি থেকে রংপো। মেল্লি সিকিম ও পশ্চিমবাংলার শেষ জনপদ। এখান থেকেই সিকিমের জোড়থাং, পেলিংয়ে যান পর্যটকেরা।

আবার ফেরার পথে মেল্লি হয়ে কালিম্পং অথবা তিস্তাবাজারের পথ ধরে শিলিগুড়িতে ফেরেন। গেইলখোলায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক একেবারে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাওয়ায় তিস্তাবাজার হয়ে পর্যটকেরা শিলিগুড়িতে ফিরতে পারছেন না। রংপো-পেডং-কালিম্পং হয়ে ঘুরপথে ফিরতে হচ্ছে। না-হলে জোড়থাং-দার্জিলিং হয়ে ফিরতে হচ্ছে। মেল্লিতে জাতীয় সড়কের একাংশে ধস নামায় আবার নতুন করে সমস্যায় পড়েছে প্রশাসন।

Puja Tour Plan : হোটেল থেকে গাড়ি-সব বুকড, পুজোয় কি যাওয়া যাবে পাহাড়ে? প্রশ্ন পর্যটকদের
পূর্ত দফতর অবশ্য গেইলখোলায় জাতীয় সড়ক পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি এদিনই বিকেলে মেল্লিতে ধস সরিয়ে যানবাহন চলাচলের কাজে নামে। কিন্তু কেন এদিন তিস্তা নদীতে ফের জল বাড়ল তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। সিকিম রাজ্য প্রশাসন এদিন মাইকিং করে জানিয়েছে, মঙ্গনে অতিবৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীতে জল বেড়েছে। অতিবৃষ্টির খবর এসেছে পশ্চিম সিকিমের লেগশিপ থেকেও। সেখানে অতিবৃষ্টির জেরে রঙ্গিত নদীতেও জল বেড়েছে।

Sikkim Flood News : ব্যাহত উদ্ধারকার্য, ফের বিপর্যয়ের শঙ্কা সিকিমে
তিস্তা ও রঙ্গিতে জল বাড়ায় নতুন করে বিপাকে পড়েছে সিকিমও। চুঙথাঙে একটি বাঁশের সাঁকো জলের তোড়ে উড়ে গিয়েছে। উত্তর সিকিমের সঙ্কলনে নির্মীয়মান বেইলি ব্রিজ উড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহওয়া দপ্তরের গ্যাংটক শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চব্বিশ ঘন্টায় মঙ্গনে ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে গুজব ছড়িয়েছে যে লোনাক হ্রদে নতুন করে ধস নামায় জল নামছে তিস্তায়।

যদিও এই গুজবের কোনও সত্যতা মেলেনি সিকিম রাজ্য প্রশাসন সূত্রে। তবে মেঘলা আবহাওয়ার জন্য এদিনও হেলিকপ্টার উড়তে পারেনি। ফলে লাচুং এবং লাচেন থেকে পর্যটকদের সরিয়ে আনার কাজ এদিন পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হয় সেনাবাহিনীকে।

Sikkim Flood : ‘হিরো’ সেনা-জওয়ানদের প্রশংসায় মুখর পর্যটকরা
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘সিকিমকে অতীতে সম্ভবত কখনও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। প্রায় সাতদিনের বেশি সময়ে ধরে পর্যটকেরা একটা এলাকায় আটকে রয়েছে। তাঁদের বার করে আনা সম্ভব হচ্ছে না। পরিবারের লোকেরা রোজ ফোন করে খোঁজ নিচ্ছেন। জবাব দিতে পারছি না।’

https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version