বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক অধ্যাপক ও বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে সাসপেন্ড করার অভিযোগ। তিনি যাতে সার্ন প্রজেক্টে কাজ না করতে না পারেন তার জন্য চিঠি লিখেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলে অভিযোগ। অধ্যাপকের করা মামলায় এমন অভিযোগ শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে অবিলম্বে সরানো উচিত।

বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

জানা গিয়েছে, সার্ন-এর প্রজেক্টে যে অধ্যাপকের কাজ করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, সেই অধ্যাপকের নাম মানস মাইতি। ওই অধ্যাপককে প্রকল্প থেকে সরিয়ে দেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বলে অভিযোগ। ৪ মে ২০২২ সালে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। এরপরই ওই অধ্যাপক এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলা উঠলে তিনি সব শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘বাঙালি এই কারণেই কাঁকড়ার জাত।’ একইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ হিসেবে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল সেই সংক্রান্ত বিষয়ের দ্রুত নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ। দুই মাসের মধ্যে অধ্যাপকের বিষয়ে শৃঙ্খলা নিতে নির্দেশ।

মানস মাইতি ২০০৫ সাল থেকে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক

জানা গিয়েছে, মানস মাইতি ২০০৫ সাল থেকে বিশ্বভারতীতে অধ্যাপনা করতেন। সার্ন নামে একটি বৈজ্ঞানিক প্রজেক্টে যুক্ত ছিলেন তিনি। সেই প্রজেক্ট থেকেই বাদ দিতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

এই প্রসঙ্গে উঠে আসে ২০২১ সালের এক ঘটনা। সেসময় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কোনও এক সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে প্রতিবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপকেরা। এরপর প্রতিবাদ জানানোর জন্য ছ’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অধ্যাপকদের আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। সেই ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়ে চক্ষুশূল হন মানস মাইতি বলে অভিযোগ। তিনি শুধু প্রতিবাদ নয়, রীতিমতো পুলিশ ডেকে এনে অধ্যাপকদের মুক্ত করেন।

শোকজের বিরোধিতা করে মামলা

মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং শামিম আহমেদ আদালতের সামনে বিষয়টি তুলে ধরে জানান, এর পরেই মানস মাইতিকে শোকজ করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। শোকজ লেটারে কারণ হিসেবে দেখানো হয়, তিনি অন্য বিভাগের বিষয়ে নাক গলাচ্ছেন। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। শোকজের নোটিশের প্রতিবাদেই কলকাতা হাইকোর্টে যান মানস মাইতি। সেই মামলাতেই উপাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিয়ে সুর চড়ান, BJP নেতা অনুপম হাজরাও। বলেন, ‘বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো মানুষও প্রকাশ্যে বলছেন বিশ্বভারতীর ভিসিকে অবিলম্বে সরানো উচিত আর উপাচার্য এদিকে (পৌষ মেলা/ বসন্ত উৎসব বন্ধ করে) অতি BJPসেজে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দিল্লিকে যদি মেয়াদকালকে একটু বাড়ানো যায়।’


রাজ্য রাজনীতি, দেশ, দুনিয়া ও জেলার বিভিন্ন খবরের জন্য হোয়াটস অ্যাপে ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক করুন এখানে



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version