এই সময়: প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় ওএমআর শিট কারচুপির অভিযোগে এ বার কৌশিক মাজিকে-ও গ্রেফতার করল সিবিআই। মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাবাদের সময় তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরও তিনি দিতে পারেননি বলে দাবি গোয়েন্দাদের। এর পরেই এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর কৌশিক মাজিকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার ওই কোম্পানির সিনিয়র প্রোগ্রামিং অফিসার পার্থ সেনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ওই সংস্থার আরও এক কর্তাকে পাকড়াও করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। কী ভাবে, কার নির্দেশে প্রাথমিকের নিয়োগে ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছিল, সে বিষয়ে আরও তথ্য পেতে দু’জনকে এক সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

মঙ্গলবার আলিপুরের নিম্ন আদালতে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পার্থ সেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই কৌশিক মাজির নাম পাওয়া গিয়েছে। এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ, নিলাদ্রি দাসের মতো প্রাথমিকের ওএমআর শিট জালিয়াতির ঘটনায় কৌশিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারচুপির পরে তথ্য-প্রমাণও লোপাট করেছেন কৌশিক।

যদিও তা মানতে চাননি তাঁর আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য। তিনি বিচারককে বলেন, ‘আমার মক্কেল কোনও রকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। চাকরি দিয়েছে শিক্ষা দফতর। যে কোনও শর্তে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।’ এদিন দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারক কৌশিককে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Recruitment Scam : বেআইনিভাবে নিযুক্ত ৯৬ জনের জায়গায় নতুন নিয়োগের নির্দেশ
কেন্দ্রীয় সংস্থা মনে করছে, প্রাথমিকে অযোগ্যদের চাকরির পাইয়ে দিতে ওএমআর শিট কারচুপি পরিকল্পিত ভাবেই করা হয়েছিল। জালিয়াতির নির্দেশ এসেছিল একেবারে শীর্ষ কর্তাদের কাছ থেকে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তিনি এখনও জেলবন্দি।

এই জালিয়াতির ঘটনায় আর কারা জড়িত ছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তদন্তে উঠে এসেছে, প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে ওএমআর শিট প্রস্তুত এবং মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। সম্প্রতি হাওড়ায় কৌশিক এবং পার্থ-র বাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। সংস্থার দপ্তরেও হানা দেওয়া হয়। উদ্ধার করা হয় নথিপত্র। সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৭৫২ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকায় নাম থাকা অযোগ্যদের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version