কী ভাবে যাবেন সিকিম?
এক্ষেত্রে ঘুরপথে দু’ভাবে সিকিমে পৌঁছতে পারবেন পর্যটকরা। সেক্ষেত্রে একদিকে শিলিগুড়ি-সিংলা-জোরেথাং-নামচি-নামথাং-মিনিং-রংপো-সিংতাম-রানিপোল হয়ে গ্যাংটক পৌঁছতে পারবেন পর্যটকরা। আবার শিলিগুড়ি-সেবক-ডামডিম-গরুবাথান-লাভা-আলগাড়া-পেডং হয়েও পৌছনো যাবে গ্যাংটক।
খরচ কত?
এবার প্রশ্ন হল এভাবে সিকিম পৌঁছতে কত খরচ হবে যাত্রীদের? আপাতত গাড়িতে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম পৌঁছতে খরচ পড়ছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। পাশাপাশি শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যেতে গাড়িতে খরচ পড়বে ৩০০০ টাকা। আর শেয়ার গাড়িতে সেই দূরত্ব যেতেই খরচ পড়বে ৩০০ টাকা।
শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং যেতে খরচ পড়বে ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা। শেয়ার গাড়িতে খরচ পড়বে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং যেতে খরচ পড়বে ২৫০০ টাকা। আর শেয়ার গাড়িতে খরচ পড়বে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।
এদিকে বিপর্যস্ত বাংলা-সিকিম লাইফ লাইন মেরামত হলেও এখনও পর্যন্ত তা চালু হল না। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। যারমধ্যে গেইল খোলা থেকে রবিঝোড়া পর্যন্ত আড়াই কিমি অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট অথরিটি সংশ্লিষ্ট অংশ মেরামতির কাজ শুরু করে। সূত্রের খবর ইতিমধ্যে সেই অংশ কালিম্পং জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুবোধ ছেত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাস্তার ধস মেরামত হয়ে গিয়েছে। এখন পরীক্ষামূলকভাবে কিছু গাড়ি চালানো হচ্ছে। রাস্তাটি বৃহস্পতিবারই খুলে দেওয়ার কথা ছিল। যদিও পর্যটক ও নিত্যযাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই সেটা এখনও চালু করা হয়নি। এদিন রাস্তাটি পরীক্ষা করবে দেখার কথা পুলিশ-প্রশাসনের। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে খোলা হবে রাস্তা।