দুর্গাপুজোয় পশ্চিম মেদিনীপুরে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেল জেলা প্রশাসনকে। প্রোটোকল ও নিরাপত্তা ছাড়াই শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিকরা পথে নামলেন। একদিকে যেমন মোটরবাইকে চেপে নজরদারি চালালেন জেলার পুলিশ সুপার। অন্যদিকে জেলাশাসককে রিকশ করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল। একাধিক পুজো মণ্ডপও ঘুরে দেখেন জেলাশাসক।

অষ্টমী দুর্গাপুজোর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিন। গোটা রাজ্য জুড়ে প্রচুর মানুষ পথে বের হন। অষ্টমীর সন্ধ্যায় নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে মোটর বাইকে করে ঘুরে নজরদারি চালালেন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। রাতে রেল নগরী খড়গপুর এবং মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ এলাকায় বাইকে নজরদারি চালান পুলিশ সুপার। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

অন্যদিকে নবমীর সন্ধ্যায় নিরাপত্তারক্ষী ও সরকারি গাড়ি ছেড়ে পুত্র সন্তানকে কোলে নিয়ে রিকশে চেপে বের হন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি। মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখেন তিনি। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষ ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় জেলাশাসককে।

West bengal Police : শ্রীভূমির প্যান্ডেলে এ কী কাণ্ড! পুলিশের দিকে এগোলেন যুবক, তারপর…
পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘জেলা পুলিশের তরফ থেকে সব এলাকায় আমরা টিম নিয়ে পরিদর্শন করছি। সব জায়গায় ট্রাফিক ও নিরাপত্তা ঠিক আছে কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হয়েছিল জেলা পুলিশের তরফে। ট্রাফিক স্বাভাবিক রাখতে টোটো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষ যাতে চুটিয়ে আনন্দ করতে পারে, তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবাইকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা। সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ দয়া করে পুলিশের নির্দেশ মেনে চলুন।’

অন্যদিকে জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, ‘টোটো, রিকশ বা পায়ে হেঁটে আমি মাঝেমধ্যেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াই। কোথায় কী সমস্যা রয়েছে তা দেখার চেষ্টা করি। জেলায় বিভিন্ন প্রান্তে উৎসবের মেজাজ। সেজে উঠেছে শহর। পুজো মণ্ডপ গুলিতে মানুষের ভিড় রয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে।’

মেদিনীপুরের বাসিন্দা সায়ন্তন মণ্ডল বলেন, ‘দুর্গাপুজোর উৎসবে আমরা সবাই আনন্দ করি। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনকে কাজ করতে হয়। উৎসবের এই সময়ে পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে যে ভূমিকায় দেখা গেল তা নিঃসন্দেহে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করবে। আমরা খুবই খুশি মানুষের সমস্যার কথা জানতে জেলা প্রশাসন উৎসবের এই দিনে এমনভাবে মাঠে নেমে কাজ করছে। ‘



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version