এই সময়: বাংলার দুই সিআইডি অফিসার সহ মোট ৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। অভিযুক্তদের মধ্যে রানিগঞ্জ থানার পূর্বতন এক আধিকারিকও রয়েছেন। ৪ অক্টোবর এদের বিরুদ্ধে দিল্লিতে এসিবি-র তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জিতেন্দ্র নাগওয়ানি নামে এক ব্যবসায়ী মুম্বইয়ের ওরলি থানায় অভিযোগ করেন যে, এরাজ্যের তিন সিআইডি আধিকারিক তাঁর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা তোলা আদায়ের চেষ্টা করেছেন।

সূত্রের খবর,২০২১ সালের নভেম্বর মাসে বর্ধমানের রানিগঞ্জে একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে নগদ তিন কোটি ২ লাখ টাকা উদ্ধার হয়। সেই তদন্তে জিতেন্দ্র নামে ওই ব্যবসায়ী এবং তাঁর সংস্থার নাম উঠে আসায় আর্থিক তছরূপের মামলা দায়ের করা হয়। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, সে সময়ে এই মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তিন আধিকারিক তাঁর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ চান।

এমনকী, গত বছরের ২৪ জুলাই দুবাই থেকে ফেরার পথে বিমানবন্দরে তাঁর স্ত্রী ভূমিকাকে অভিবাসন দফতর আটক করে। কলকাতা পুলিশ তাঁর নামে লুক আউট নোটিস জারি করেছে বলে ভূমিকাকে জানানো হয়। পরের দিনই এক সিআইডি অফিসার মুম্বই উড়ে গিয়ে ভূমিকাকে গ্রেফতার করার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ।

এর ভিত্তিতে ওরলি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। এরপর মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টও ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সিআইডি-র করা প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং কেস খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইডি ছাড়া কোনও তদন্তকারী এজেন্সি কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে ওই অ্যাক্টে মামলা দায়ের করতে পারে না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version